ফাইল চিত্র।
বেসরকারি হাসপাতালে দুর্ঘটনাগ্রস্ত যুবকের চিকিৎসা করাতে আর পেরে উঠছিলেন না বাড়ির লোক। ‘মুশকিল আসান’ হল ‘দিদিকে বলো’ পরিষেবা। সেখানে বিষয়টি জানাতেই বৃহস্পতিবার চটজলদি সরকারি হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা হল। মহম্মদ তারিকুল কুরাইসি নামে ডানকুনির চাকুন্দির ওই যুবক এখন শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তারিকুলের বাবা, পেশায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক মহম্মদ সামসুদ্দিন কুরাইসি তৃণমূল সমর্থক। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ছাপোষা মানুষ। বেসরকারি জায়গায় চিকিৎসা চালানোর সামর্থ্য নেই। ভাগ্যিস, দিদিকে বলতে পেরেছিলাম। আশা করছি, ছেলেটা দ্রুত সেরে উঠবে। দলের স্থানীয় নেতানেত্রীদের তেমন সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রীতে ফোন করতে না-পারলে এ ভাবে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা হতো না।’’
সরকারি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে ওয়ালশ হাসপাতালের সুপার কমলকিশোর সিংহকে ফোন করে তারিকুলের বিষয়টি জানানো হয়। তাঁকে ভর্তি করে যথাযথ চিকিৎসার চালু করতে বলা হয়। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তারিকুলকে ওই হাসপাতালে আনা হয়। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করানো হয়। সুপার বলেন, ‘‘ওই যুবকের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। চিকিৎসা চলছে। তিনি এখনও পুরোপুরি বিপন্মুক্ত নন।’’
তারিকুলের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। কয়েক দিন আগে ডানকুনি উড়ালপুলে তিনি দুর্ঘটনায় পড়েন। তারিকুলের মাথায়-বুকে চোট লাগে। ডান পা ভেঙে যায়। তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই বাড়ির লোকেরা তারিকুলতে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, রোগীকে আইসিইউ-তে রাখতে হবে। কিন্তু শয্যা ফাঁকা নেই। তাই অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সামসুদ্দিন বলেন, ‘‘ছেলের অবস্থা দেখে পার্ক সার্কাসের একটা নার্সিংহোমে ভর্তি করাই। দিন তিনেক সেখানে থাকার পরে খরচে কুলিয়ে উঠতে পারছি না দেখে শিয়ালদহের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাই। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেজো ছেলে রফিকুল ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করে।’’ সামসুদ্দিনের দাবি, ওখানে ফোনে সব শুনে তাঁদের বলা হয় ছেলেকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যেতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy