Advertisement
E-Paper

ফেরিঘাটের ইজারা নবীকরণ না করেই টাকা আদায়ের অভিযোগ পুরশুড়ায়

পুড়শুড়া এবং খানাকুলের মধ্যে সংযোগকারী দিগরুইঘাট-মুণ্ডেশ্বরী সেতুর নির্মাণকাজ শেষের পথে। সেতুর পাশেই দিগরুইঘাট ফেরিঘাটের ইজারার মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে মাস তিনেক আগে। ফের নতুন করে ঘাট ইজারা দিতে পুড়শুড়া পঞ্চায়েত সমিতি উদ্যোগী হলেও লোকসানের আশঙ্কায় নতুন করে ইজারা নিতে এগিয়ে আসেনি কেউ। এই অবস্থায় আগের ইজারাদারই ফেরিঘাট অবৈধভাবে দখল করে পয়সা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০২

পুড়শুড়া এবং খানাকুলের মধ্যে সংযোগকারী দিগরুইঘাট-মুণ্ডেশ্বরী সেতুর নির্মাণকাজ শেষের পথে। সেতুর পাশেই দিগরুইঘাট ফেরিঘাটের ইজারার মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে মাস তিনেক আগে। ফের নতুন করে ঘাট ইজারা দিতে পুড়শুড়া পঞ্চায়েত সমিতি উদ্যোগী হলেও লোকসানের আশঙ্কায় নতুন করে ইজারা নিতে এগিয়ে আসেনি কেউ। এই অবস্থায় আগের ইজারাদারই ফেরিঘাট অবৈধভাবে দখল করে পয়সা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় মানুষের আরও অভিযোগ, পুড়শুড়ার তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমানের ঘনিষ্ঠ ওই ইজারাদারের লোকজন বিধায়কের নাম করে ফেরিঘাট দিয়ে যেতে বাধ্য করাচ্ছে। সেতু দিয়ে গেলেই মারধর করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে পুড়শুড়া পঞ্চায়েত সমিতিতে এ নিয়ে অভিযোগও জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের অনীশরঞ্জন মাজি বলেন, ‘‘মাস তিনেক হল ফেরিঘাটের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ব্লক প্রশাসন নতুন করে ডাকের ব্যাপারে উদ্যোগী হলেও সাড়া মেলেনি। এই অবস্থায় আগের ইজারাদার মানোয়ার হোসেন-সহ তাঁর গোষ্ঠীকেও বলা হয়েছেল। কিন্তু তাঁরাও রাজি হননি। উল্টে পঞ্চায়েত সমিতিকে বঞ্চিত করে ঘাট থেকে পয়সা আদায় করা হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। সমস্ত ঘটনা বিধায়ককে বলেছি।’’

বিধায়ক পারভেজ রহমান বলেন, ‘‘মানুষ তাঁর সুবিধামত পথে যাবেন। এটা তাঁর অধিকার। সেখানে মারধর করা অন্যায়। এ ব্যাপারে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’’ ইজারাদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করে তিনি জানান, ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যে কয়েক মাস আগের ইজারাদার ঘাট চালাচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতির দাবিমত সেই টাকা তাদের পরিশোধ করতে হবে।

পুড়শুড়া পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রের খবর, এলাকায় মোট ফেরিঘাটের সংখ্যা ৮। এর মধ্যে বড়দিগরুই ঘাট দিয়েই সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় যাত্রী পারাপার চলে। সমিতি সূত্রে খবর, ওই ঘাট থেকে বর্ষার তিন মাস দৈনিক ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় হলেও বাকি মরসুমে বিশেষ করে আলুর সময়ে দৈনিক ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়। সাধারণত প্রতি দু’বছর অন্তর ফেরিঘাটের ইজারা দেওয়া হয়। তবে মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপরে সেতু তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাই ২০১৩ সালের শেষ দিক থেকে ৬ মাস অন্তর ঘাট ইজারা দেওয়া হচ্ছে।

দেবাংশু মাইতি, লক্ষ্মী মাইতি নামে দিগরুইঘাটের দুই বাসিন্দা জানান, দিন কয়েক আগে ফেরিঘাটের বদলে সেতু দিয়ে হেঁটে পারাপারের সময় তাঁদের মারধর করে ইজারাদারদের লোকেরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফেরিঘাটের ইজারাদার মানোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘সেতু দিয়ে যাওয়ার জন্য কাউকে মারধর করা হয়নি।’’

ঘাটের ইজারা ফের নবীকরণ না করে ঘাট চালানো প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘এখন আলুর মরসুম। তাই স্থানীয় মানুষের স্বার্থেই এই পরিষেবা। সেতুর কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে কটা দিন চালাচ্ছি তার আয়ের হিসাব দিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির টাকা মিটিয়ে দেব।’’

pursura ferry lease municipality panchayat potato south bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy