ডাকঘরে কোর-ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালুর কাজ চলছে। কিন্তু মিলছে না রেজেস্ট্রি চিঠি পাঠাবার স্লিপ, ডাকটিকিটের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস। হাওড়ার বাগনানের মুগকল্যাণ উপ ডাকঘরের অধীনে থাকা শাখা ডাকঘরগুলি ভুগছে এমনই নানা সমস্যায়।
জেলা ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়ার মুগকল্যাণ উপ ডাকঘরের অধীনে ২৩টি শাখা ডাকঘর রয়েছে। তার মধ্যে শশাটি, কুল্টিকরি-সহ বেশিরভাগ ডাকঘরেই রেজেস্ট্রি চিঠি পাঠানোর জন্য স্লিপ ও ডাক টিকিট মিলছে না। ৪-৫ মাস ধরে চলছে এই সমস্যা। উপভোক্তাদের অভিযোগ, ডাকঘরের কর্মীরা বলছেন, ওই স্লিপের সরবরাহ নেই। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁদের রেজেস্ট্রি চিঠি পাঠাতে বাড়তি রাস্তা উজিয়ে মুগকল্যাণ উপ ডাকঘরে আসতে হচ্ছে। নাকোল শাখা-ডাকঘরে আবার রেজেস্ট্রি স্লিপ থাকলেও নেই ডাক টিকিট। ফলে সেখান থেকেও রেজেস্ট্রি চিঠি পাঠানো যাচ্ছে না।
জেলা ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার ফর্ম, আইনি চিঠি-সহ কিছু বিশেষ প্রয়োজনে রেজেস্ট্রি চিঠি পাঠানো হয়। এই চিঠির উপরে ডাক টিকিট লাগানো বাধ্যতামূলক। চিঠি পাঠানোর পরে ডাকঘর কর্তৃপক্ষ চিঠির প্রেরককে ‘রিসিভ’ হিসেবে একটি স্লিপ দেন। সেই স্লিপই মিলছে না শাখা ডাকঘরগুলিতে। মুগকল্যাণ উপ ডাকঘরে কোর ব্যাঙ্কিং পুরোপুরি চালু না হলেও এখানে কম্পিউটারের মাধ্যমে কিছু কাজ হয়। তাই এই ডাকঘর থেকে রেজেস্ট্রি চিঠি পাঠাতে স্লিপ দরকার নেই। কিন্তু শাখা ডাকঘরগুলিতে সেই সুবিধা নেই।
ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকঘরগুলিকে আধুনিক করার কাজ চলছে। বেশিরভাগ ডাকঘরেই কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেম (কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান) চালু হচ্ছে। তাই রেজেস্ট্রি চিঠির স্লিপের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দেওড়ার বাসিন্দা আতিয়ার রহমানের ক্ষোভ, ‘‘রেজেস্ট্রি চিঠি পাঠাতে গেলে এখন মুগকল্যাণে বা উলুবেড়িয়ায় যেতে হচ্ছে। এতে ডাক বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা নিক।’’ জেলা ডাকঘর বিভাগের এক কর্তা অবশ্য সরবরাহ না থাকার অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, ‘‘এমনটি হওয়ার কথা নয়, খোঁজ নিয়ে দেখবো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy