থিম পুজোর টানে হুগলির শহরাঞ্চলে পঞ্চমী থেকে মানুষ পথে নেমেছেন। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য পুলিশ কই!
উরি-বারামুলায় জঙ্গি হামলার পরে দেশজুড়ে নিরাপত্তা আঁটাসাঁটো করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে কলকাতার নানা পুজোতেও। কিন্তু হুগলিতে যেন বিপরীত ছবি! অনেকেরই অভিযোগ, এ বার রাত নামতেই মোটরবাইকের সাইলেন্সার খুলে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মদ্যপ যুবকেরা। তাদের থামানোর কেউ নেই। বাড়ছে ইভটিজিংও। উত্তরপাড়া থেকে বলাগড়, তারকেশ্বর থেকে আরামবাগ—এক ছবি। বৈদ্যবাটির এক তরুণী বলেন, ‘‘যে ভাবে অসভ্যের মতো চুলকাটা ছেলেগুলো পিছু ধাওয়া করছে, তাতে আমরা দল বেঁধে বের হলেও বাড়ির লোক ভয়ে বারবার ফোন করছে।’’ তবে, শ্রীরামপুর বটতলার এক মহিলা মনে করেন, সপ্তমী থেকে বেশি সংখ্যায় পুলিশ রাস্তায় দেখা যাবে। তখন বাইক-বাহিনীর দাপটও কমবে।
অন্যা বার পুজোর শুরু থেকেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়, বড় পুজো মণ্ডপের সামনে বা রাতের সড়কে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু এ বার ষষ্ঠীর রাত পর্যন্ত সেই ছবি দেখা যায়নি বলে অভিযোগ তুলছেন সাধারণ মানুষই। কেউ কেউ মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে চাষিদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এখন সিঙ্গুরে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা তুঙ্গে। আর সেই কারণেই পুজোর নিরাপত্তার সেই বহর এ বার অধরা!
এ কথা অবশ্য মানতে চাননি জেলা পুলিশের এক কর্তা। তাঁর দাবি, ‘‘সিঙ্গুরের জন্য জেলার আমাদের বাহিনী কম, এটা ঠিক নয়। বাইরে থেকে পুলিশ আনা হয়েছে। রিজার্ভ পুলিশ কাজে লাগানো হয়েছে। সাদা পোশাকের পুলিশ বেশি রাখছি। তাই হয়তো মানুষের চোখে পড়ছে না।’’
পুলিশেরই পরিসংখ্যান বলছে, বাইরের জেলা থেকে তিন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার যেমন সিঙ্গুরে এসেছেন, তেমনই হুগলিরও তিন ডিএসপি আটকে রয়েছেন সিঙ্গুরের চৌহদ্দিতেই। আবার পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক অফিসারকে জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হচ্ছে। সিঙ্গুরে যেতে হচ্ছে জেলাশাসককেও। মোট ১৮০ পুলিশের যে বাহিনী সিঙ্গুরে রয়েছে, তার ৩৪ জনই জেলা পুলিশের!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy