অগ্রণী: পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন দোলন। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
একই জায়গায় বারবার পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। যান নিয়ন্ত্রণে ২ জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হলেও তাঁরা আধিকাংশ সময় সামনের দোকানে ফোন নিয়ে মগ্ন থাকেন বলে অভিযোগ। গোঘাটের দুর্ঘটনাপ্রবণ ওই পচাখালিতে পথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে স্থানীয় মানুষও সরব হয়েছেন বহুবার। তবে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়নি। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলেন এক মহিলা। দোলন দাস নামে ওই মহিলা পথ নিরাপত্তার দাবিতে কয়েক দফা শর্ত আরোপ করে পথ অবরোধ করলেন।
দোলনের পথ অবরোধের খবর পেয়ে পাশের ৭-৮ গ্রামের মানুষও সেই অবরোধে সামিল হলেন। পচাখালি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় শ্বশুরবাড়ি দোলনের। তাঁর অভিযোগ, “চোখের সামনে দেখলাম গত কয়েক বছরে পথ দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার পরেও প্রশাসনের তরফে কোনও স্পিড ব্রেকারের ব্যবস্থা হল না!’’
সোমবার সকালে কামারপুকুর যাওয়ার পথে কামারপুকুর থেকে কলকাতাগামী একটি সরকারি বাসের ধাক্কায় জখম হয় এক শিশু। তাকে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন দোলনই। মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ ওই রুটের সরকারি বাসটি আসতেই তার পথ আটকান দোলন। শুরু হয় বাসের চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি।
ততক্ষণে পাশাপাশি গ্রামগুলো থেকেও শ’খানেক মানুষ এসে অবরোধ সামিল হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশ আধিকারিকরা জানতে চান, দুর্ঘটনায় তাঁর কোনও ক্ষতিপূরণের দাবি রয়েছে কি না। দোলন কোনও দাবি জানাননি। তাঁর দাবি, ‘‘পচাখালিতে বারবার দুর্ঘটনা রুখতে একটি হাম্প, রাতে আলোর ব্যবস্থা এবং গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া সাত-আটটি গ্রামের মানুষ এখান থেকে বাস ধরেন। একটা যাত্রী প্রতীক্ষালয়েরও দাবি আছে আমাদের।’’
পুলিশ জানায়, আগামী চারদিনের মধ্যে হাম্পটি তৈরি করে দেওয়া হবে। আলো এবং প্রতীক্ষালয় নিয়ে প্রশাসনের আশ্বাস মেলার পর অবরোধ ওঠে।
ওই এলাকায় দোলনের হোটেল রয়েছে। দোলনের স্বামী রাধেশ্যাম দাস বলেন, “জনকল্যাণমূলক কাজে দোলনের পাশে আমরা গ্রামের সবাই আছি। ওর রুখে দাঁড়ানোর কাজ হলে গ্রামেরই মঙ্গলই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy