Advertisement
E-Paper

স্কুলে তালা, ফিরলেন আধিকারিক

ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিতে আসা স্কুলের ছাত্রী সুমনা দে, রিঙ্কু দে, নন্দিনী গুপ্তার অভিযোগ, ‘‘আমরা প্রায় রোজই স্কুলে আসছি। আবার ফিরে যাচ্ছি। প্রতিদিন স্কুলে প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে অন্য শিক্ষিকাদের গোলমাল হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৪৮
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে অভিযোগ জানাচ্ছেন অভিভাবকরা। নিজস্ব

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে অভিযোগ জানাচ্ছেন অভিভাবকরা। নিজস্ব

স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক। অথচ, নেই কোনও শিক্ষিকা। স্কুলের ফটকে ঝুলছে তালা। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে ফিরে গেলেন শিক্ষা দফতরের ওই কর্তা। মঙ্গলবার পান্ডুয়া রাধারানি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা শিক্ষা দফতর, স্কুলের ছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকেরা। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাবেরী সরকারের সঙ্গে অন্য শিক্ষিকাদের বিবাদের জেরে আটকে গিয়েছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ। মঙ্গলবার সমস্যা মেটাতে এসেছিলেন খোদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নজরুল হক সিপাহী। স্কুলে এসে তিনি দেখেন ফটকে ঝুলছে তালা। নেই এক জন শিক্ষিকাও। স্কুলের সামনে ভিড় করে রয়েছেন ছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকেরা।

প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরে ফিরে যান জেলা শিক্ষা দফতরের ওই কর্তা। ছাত্রী ও তঁদের অভিভাবকদের বলে যান, ‘‘শুক্রবার আবার আসব। সে দিন সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’’ প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘‘জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মঙ্গলবার আসবেন, এই মর্মে লিখিত কোনও নির্দেশ পাইনি। তবে মৌখিক ভাবে জেনেছিলাম। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে ফোন করেছিলাম। কখন তিনি আসবেন, তা আমায় জানানো হয়নি। তাই স্কুলে আসিনি।’’ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের বক্তব্য, ‘‘সব শিক্ষিকাকে স্কুলে আসতে বলেছিলাম। কেন তারা আসেননি তা খোঁজ নিচ্ছি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেব।’’ তারপর যোগ করেন, ‘‘শুক্রবার আবার আসব। পড়ুয়াদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। আশা করছি, সে দিন প্রধান শিক্ষিকা এবং অন্য শিক্ষিকারা স্কুলে থাকবেন।’’

ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিতে আসা স্কুলের ছাত্রী সুমনা দে, রিঙ্কু দে, নন্দিনী গুপ্তার অভিযোগ, ‘‘আমরা প্রায় রোজই স্কুলে আসছি। আবার ফিরে যাচ্ছি। প্রতিদিন স্কুলে প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে অন্য শিক্ষিকাদের গোলমাল হচ্ছে। আমরা ট্রান্সফার সার্টিফিকেট পাচ্ছি না। কবে পাব জানি না।’’ শিশির খাঁড়া, পারমিতা মান্না, ঝুমা ঘোষের মতো কয়েকজন অভিভাবকের প্রশ্ন, ‘‘প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে অন্য শিক্ষিকাদের গোলমালের ফল কেন ছাত্রীদের ভুগতে হবে। এতে স্কুলের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনার। কড়া পদক্ষেপ করা উচিত প্রশাসনের।’’

School Problem Pandua
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy