Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Dankuni

ভ্যাটের আগুনের ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে এলাকা, ডানকুনি পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ

স্থানীয় বাসিন্দা তন্ময় ভৌমিকের অভিযোগ, “করোনার কারণে যেখানে আতসবাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট, সেখানে এ ভাবে আবর্জনায় আগুন জ্বালিয়ে পরিবেশ দূষণ করছে ডানকুনি পুরসভা।”

ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। নিজস্ব চিত্র।

ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডানকুনি শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ১৮:০১
Share: Save:

ডানকুনির পুরসভার অস্থায়ী ভ্যাটে কঠিন বর্জ্যের আগুন জ্বলছে। আর তা থেকে কালো ধোঁয়ায় পুরসভার মাইতি পাড়া ও সংলগ্ন এলাকা ঢেকে যাচ্ছে। ডানকুনি থেকে হাওড়া ও কলকাতা যাওয়ার পথে অনেক দূর থেকে সেই কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

হুগলির ডানকুনি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি অস্থায়ী ভ্যাট তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানে বর্জ্যে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর তা থেকে অনর্গল কালো ধোঁয়া নির্গত হয়ে চলেছে। ফলে স্থানীয় মানুষ থেকে জাতীয় সড়কের গাড়ির চালকদেরও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা তন্ময় ভৌমিকের অভিযোগ, “করোনার কারণে যেখানে আতসবাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট, সেখানে এ ভাবে আবর্জনায় আগুন জ্বালিয়ে পরিবেশ দূষণ করছে ডানকুনি পুরসভা।”

দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন আধিকারিক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, কঠিন বর্জ্যের ধোঁয়া কোভিড থেকে ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হতে পারে।। পুরসভা এই আগুন বা ধোঁয়ার দায় এড়াতে পারে না।

পুর প্রশাসক হাসিনা শবনম দাবি করেছেন, বিষয়টি পুরসভার জানা ছিল না। কে বা কারা এই আগুন লাগাচ্ছে, তদন্ত করে দেখা হবে। স্থায়ী ভ্যাটে প্যান্ডেল হওয়ায় অস্থায়ী ভাবে বর্জ্য ফেলার ব্যাবস্থা করা হয়েছে ডানকুনি এফসিআই গুদামের কাছে। অস্থায়ী ভ্যাটে কারা আগুন লাগাচ্ছে, খতিয়ে দেখে আইন মাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dankuni Fire
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE