Advertisement
E-Paper

শ্যামপুরের গ্রামে স্কুলের কাছে মদের দোকান, বিক্ষোভে শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা

একজোট হয়ে স্কুলের কাছে মদের দোকান বন্ধ করে দিলেন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকেরা। 

সুব্রত জানা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:২০
প্রতিবাদ: মদ বিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা। সোমবার শ্যামপুরের আমরদহ এলাকায়। নিজস্ব চিত্র

প্রতিবাদ: মদ বিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা। সোমবার শ্যামপুরের আমরদহ এলাকায়। নিজস্ব চিত্র

একজোট হয়ে স্কুলের কাছে মদের দোকান বন্ধ করে দিলেন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকেরা।

শ্যামপুরের আমরদহ এলাকায় নওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ এবং নওদা বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় কাছাকাছি। কিছুদিন ধরেই ওই দুই স্কুলের কাছে একটি নির্মাণ হতে দেখছিলেন সকলে। কানাঘুষো শুনছিলেন, সেখানে মদের দোকান হবে। সোমবার সকালে সকলে দেখলেন, খুলে গিয়েছে মদের দোকান। এর জেরে পরিবেশ দূষণ এবং ছাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকে। আর তার পরেই দুই স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখিয়ে সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওই মদের দোকান বন্ধ করে দেন।

বিক্ষোভকারীরা স্কুল থেকে হাতে লেখা পোস্টার নিয়ে মিছিল করে দোকানের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের কথা জানতে পেরে দোকান বন্ধ করে দেন মালিক বিভাস তুং। বন্ধ দোকানেও পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। সন্ন্যাসী মান্না নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘দু’টি স্কুলের সব মিলিয়ে ১৯০০ ছাত্রছাত্রী। এখানে মদের দোকান হলে পরিবেশ দূষিত হবে। তা হতে দেওয়া যাবে না।’’

নওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুণা বাজানি বলেন, ‘‘এখানে ওই দোকান হলে ছাত্রদের মধ্যে নেশা করার প্রবণতা আসতে পারে। ছাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় আশঙ্কাও থাকে। বিডিও-র কাছে মদের দোকান বন্ধ করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।’’ নওদা বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলরাম ঘোড়ুই বলেন, ‘‘আশপাশের প্রায় ২০টি গ্রামের ছেলেমেয়ে এই দুই স্কুলে পড়তে আসে। এখানে মদের দোকান চলতে দেওয়া যায় না।’’

গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, মদের দোকান তৈরি হওয়ার আগাম খবর পেয়ে অবিলম্বে দোকান তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য তাঁরা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আর্জি জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। শ্যামপুর-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুলফিকার আলি মোল্লা বলেন, ‘‘প্রশাসনের সর্বস্তরে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। যাতে মদের দোকান অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।’’ বিডিও সুব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘এলাকাবাসী ও স্কুলের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। শীঘ্রই তদন্ত করা হবে।’’ বিক্ষোভ নিয়ে মদের দোকানের মালিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Agitation Student Teacher Liquor Shop
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy