Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

মিলছে মাংস আর ভাত, খুশি পড়ুয়ারা

চুঁচুড়া বালিকা বাণীমন্দিরে মিড-ডে মিলের এই মেনু ছাত্রী এবং অভিভাবকদের ক্ষোভ দূর করেছে। ছাত্রীদের অনেকেই জানিয়েছে, এখন স্কুলে চেটেপুটে দুপুরের খাওয়া সারছে তারা।

সারি: খাওয়ার জন্য লাইন পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র

সারি: খাওয়ার জন্য লাইন পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:১৯
Share: Save:

নুন-ভাত পর্ব অতীত। এখন ভাতের সঙ্গে সপ্তাহে এক দিন পাতে পড়ছে মুরগির মাংস। কোনও দিন ডিমের ভুজিয়া, কোনও দিন আলু-ডিমের ঝোল। কোনও দিন ডিম কষা। থাকছে ডাল, সয়াবিনের তরকারিও।

চুঁচুড়া বালিকা বাণীমন্দিরে মিড-ডে মিলের এই মেনু ছাত্রী এবং অভিভাবকদের ক্ষোভ দূর করেছে। ছাত্রীদের অনেকেই জানিয়েছে, এখন স্কুলে চেটেপুটে দুপুরের খাওয়া সারছে তারা। সম্প্রতি এই স্কুলেই মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হ‌ন এলাকার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। স্কুলে হানা দিয়ে তিনি দেখেন, ছাত্রীদের খাবারে রয়েছে শুধু ভাত আর নুন। পড়ুয়াদের সঙ্গে অভিভাবকেরাও এ নিয়ে সাংসদের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দফতর তদন্তে নামে। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তার পরেই খাদ্য-সূচিতে পরিবর্তন আসে। জেলার সব স্কুলেই পুষ্টিকর খাবারের নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের তরফে।

ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, এখন মিড-ডে মিলে সপ্তাহে চার দিন ডিমের পদ থাকছে। এক দিন থাকছে মুরগির মাংস। অপর দিন নিরামিষ। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ছ’শো ছাত্রী প্রতিদিন ওই খাবার খাচ্ছে। ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, ‘‘অনেক দিন নুন-ভাত খেতে হয়েছে। কোনও রকমে খেয়ে নিতাম। এখন খুব ভাল খাবার দিচ্ছে।’’ অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘আগে অনেকেই ভাত ফেলে দিত। এখন ফেলতে হয় না।’’

সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া এক কিশোরীর মা বলেন, ‘‘মেয়ে যখন বাড়িতে এসে বলত, স্কুলে শুধু নুন-ভাত দিয়েছে, খুব খারাপ লাগত। সংবাদমাধ্যমে সত্যিটা প্রকাশিত না হলে, মেয়েরা পুষ্টিকর খাবার হয়তো পেত না। এখন আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। খুব ভাল খাবার দেওয়া হচ্ছে এখন।’’

অভিভাবকদের একাংশের দাবি, প্রধান শিক্ষিকা না-থাকায় এবং পরিচালন সমিতির উদাসীনতায় স্কুল পরিচালনায় নানা সমস্যা হচ্ছিল। মিড-ডে মিলের সমস্যাও সেই কারণে মিটছিল না। ওই ঘটনা সামনে আসার পরে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়। তাতে স্কুলের পরিবেশের উন্নতি হয়েছে বলে তাঁরা জানান।

প্রধান শিক্ষিকা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ছাত্রীরা আমাদের মেয়েদের মতো। পঠনপাঠনে শৃঙ্খলার পাশাপাশি মিড-ডে মিলে ছাত্রীরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায়, তা দেখা হচ্ছে। যদিও মিড-ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকার পরিমাণ খুবই কম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chicken Food Mid Day meal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE