Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, ভাঙচুর দলীয় কার্যালয়েও

একমাস যেতে না যেতেই ফের রবিবার সকালে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল পুরশুড়ার শ্যামপুর এবং সংলগ্ন ঘোলদিগরুই গ্রাম। দফায় দফায় দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ।

অবরোধ: পুলিশের গা়ড়ি আটকে বিক্ষোভ হরিণখোলায়। নিজস্ব চিত্র

অবরোধ: পুলিশের গা়ড়ি আটকে বিক্ষোভ হরিণখোলায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরশুড়া শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৭ ০৩:২৪
Share: Save:

একমাস যেতে না যেতেই ফের রবিবার সকালে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল পুরশুড়ার শ্যামপুর এবং সংলগ্ন ঘোলদিগরুই গ্রাম। দফায় দফায় দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। ঘোলদিগরুই থেকে বোমা-সহ এক তৃণমূল কর্মীকে ধরা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সামসুদ্দিন মল্লিক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ছ’মাস ধরে গ্রামে ক্ষমতা দখল ঘিরে শ্যামপুরের তৃণমূলের এই দুই গোষ্ঠীর বিবাদ চলছে। দলীয় সূত্রে খবর, একদিকে রয়েছে পুরশুড়ার বিধায়ক মহম্মদ নুরুজ্জামান ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শেখ সরিফ ওরফে টিঙ্কু, প্রসেনজিৎ বেরা। অন্য দিকে দলের অঞ্চল সভাপতি আক্রাম হোসেনের লোকজন। গত ১৫ এপ্রিল শ্যামপুরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বোমাবাজি, লুঠ, মোটরবাইক ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। লাঠির এবং বাঁশের আঘাতে দু পক্ষের ১২ জন আহত হন। তারপর ফের রবিবার সকাল থেকে শুরু হয় দু’পক্ষের বোমাবাজি।

অঞ্চল সভাপতি আক্রাম হোসেনের অভিযোগ, “চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন দুষ্কৃতী দলে এসে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। দলের উপরতলার নেতারা চুপ করে রয়েছেন।” অন্য দিকে পুরশুড়া বিধায়ক তৃণমূলের মহম্মদ নুরুজ্জামানের কথায়, ‘‘যারা গোলমাল পাকাচ্ছে তারা দুষ্কৃতী। কোনও দলের নয়। পুলিশকে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে বলেছি।’’

আবার, তৃণমূলের এই গোষ্ঠীসংঘর্ষের জেরেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে আরামবাগের হরিণখোলায় এই ঘটনার পর দলের এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে গ্রেফতারের দাবি জানায়। এমনকী স্থানীয়দের অভিযোগ, শনিবার রাতের ঘটনার পরও রবিবার পুলিশ ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছায়। প্রতিবাদে সকাল ৯ টা থেকে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ঘন্টা খানেক পর পুলিশ গিয়ে দোষীদের ধরার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। অবরোধের জেরে আরামবাগ থেকে কলকাতা এবং তারকেশ্বর যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি অবরুদ্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বিনয় পালের অভিযোগ, “দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে আসবাব ভাঙচুর এবং জরুরি কাগজপত্র চুরি হয়েছে। দলের মধ্যে থাকা কয়েকজন দুষ্কৃতী এই কাজ করেছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় কারও নামে অভিযোগ দায়ের হয়নি।

হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্তের অবশ্য দাবি, ‘‘এটা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নয়। সিপিএমের দুষ্কৃতীরাই গণ্ডগোল বাধিয়ে তৃণমূলের নামে দোষ দিচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Group clash Office Vadalised
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE