Advertisement
E-Paper

জিটি রোডে অবাধ টোটো, নিয়ন্ত্রণ নেই পুলিশের, যানজটে নাকাল হুগলি

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হুগলির প্রতিটি পুর এলাকায় মাস কয়েক আগে টোটো গণনা শুরু হয়। প্রশাসনের তরফে বলা হয়, টোটোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই উদ্যোগ। কিন্তু সেই কাজ এখনও পর্যন্ত শেষ হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯ ০১:১২
দখল: রাস্তা জুড়ে টোটো। চুঁচুড়ায়। ছবি: তাপস ঘোষ

দখল: রাস্তা জুড়ে টোটো। চুঁচুড়ায়। ছবি: তাপস ঘোষ

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, কোনও জাতীয় বা রাজ্য সড়ক দিয়ে টোটো চলানো যাবে না। টোটো চলতে পারে রাজ্য বা জাতীয় সড়কের সংযোজক রাস্তা দিয়ে। কিন্তু সেই নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে হুগলির জিটি রোডে অবাধে চলছে টোটো।

শুধু চলছেই না, প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে টোটোর সংখ্যা। তার জেরে জিটি রোডে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন। সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, টোটোর ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই পুলিশের। সে কারণেই যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে যাত্রী ওঠানো নামানো চলছে নিয়মিত। তার জেরে জিটি রোডে গাড়ির গতি কমে যাচ্ছে। পথে বের হয়ে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে যানজটে। অনেক সময় গাড়ির ভিড়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় আটকে থাকতে হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সকেও।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হুগলির প্রতিটি পুর এলাকায় মাস কয়েক আগে টোটো গণনা শুরু হয়। প্রশাসনের তরফে বলা হয়, টোটোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই উদ্যোগ। কিন্তু সেই কাজ এখনও পর্যন্ত শেষ হয়নি। ফলে টোটোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কোনও সিদ্ধান্তও এখনও নিতে পারেনি প্রশাসন। এই সুযোগে উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, রিষড়া, চন্দননগর, চুঁচুড়া, বাঁশবেড়িয়ার মত শহরে প্রতিদিন নতুন টোটো রাস্তায় নামছে বলে অভিযোগ। টোটোর ভিড়ে বন্দি হচ্ছে শহর। গ্রামীণ হুগলির তিন পুর এলাকা ডানকুনি, তারকেশ্বর এবং আরামবাগেও পরিস্থিতি এক।

টোটোর সংখ্যা বাড়ার নেপথ্যে রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের একাংশের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে বিজেপি। হুগলির বিজেপি নেতা তথা দলের ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি স্বপন পাল বলেন, ‘‘স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতেই টোটোর এই রমরমা। ওরাই টাকা নিয়ে একের পর এক টোটো নামাচ্ছে। কিছুদিন আগে চুঁচুড়ায় বিধায়কের কাছে নেতাদের টাকা নেওয়ার অভিযোগও জানিয়েছেন টোটো চালকরা।’’ উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের জেলার কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদব জানান, এই সংক্রান্ত নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দল খতিয়ে দেখবে। তিনি বলেন, ‘‘টোটোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।’’

টোটোর এই বাড়বাড়ন্তে জেলা পরিবহণ দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চন্দননগর পুরসভার কমিশনার স্বপন কুণ্ডু। তাঁর কথায়, ‘‘চন্দননগর শহরে হু-হু করে বাড়ছে টোটো। জেলার পরিবহণ দফতর থেকে নির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন দেওয়া হয়নি টোটো নিয়ন্ত্রণে। বিষয়টা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’’ টোটোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের আশ্বাস দেন কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা।

Toto Hoogly Chinsurah GT Road
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy