বিলম্বিত: চলছে সেতু সংস্কার। নিজস্ব চিত্র
চার মাস ধরে ভারী যান চলাচল বন্ধ বাঁশবেড়িয়ার ঈশ্বরগুপ্ত সেতুতে। আর এই নিষেধাজ্ঞার জেরে জেরবার ব্যবসায়ী থেকে কারখানার মালিক।
হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই সেতু সংস্কার শেষ করা যায়নি। বিলম্বের কারণ জানতে ও সেতুটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য পূর্ত দফতরের পদস্থ কর্তাদের ফের সেতু পরিদর্শনে পাঠানো হবে।’’
মাস ছয়েকেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের শুরুতে ঈশ্বরগুপ্ত সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। কিন্তু ২৮ জানুয়ারি ঈশ্বরগুপ্ত সেতুর একাংশে ফাটল দেখা দেয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারী যান চলাচল। পূর্ত ও সড়ক দফতরের অধিকারিকরা আশ্বাস দেন, দু’সপ্তাহের ভিতরেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে ওই সেতুতে। কিন্তু চার মাস পরও অবস্থার বদল হয়নি।
সেতু দিয়ে ভারী যান (ছয় চাকা, দশ চাকার ট্রাক) চলাচল না করলে ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তাঁরা জানান, ঈশ্বরগুপ্ত সেতু থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে নদিয়ার গৌরাঙ্গ সেতু। উল্টোদিকে কলকাতামুখী রাস্তায় বালি সেতুর দূরত্ব ৫৪ কিলোমিটার। ফলে ঈশ্বরগুপ্ত সেতু দিয়ে না যেতে পারলে ঘুরপথে যেতে হয় ৯৪ কিলোমিটার। ঈশ্বরগুপ্ত সেতু দিয়ে যান চলাচল না করলে মালবাহী ট্রাককে দীর্ঘপথ ঘুরে আসতে হচ্ছে। দিল্লি রোডের উপর শেওড়াফুলির অদূরে তারকেশ্বর-গোঘাট রেল লাইনের ওভারব্রিজও বিপজ্জনক। ফলে সেখান দিয়ে ভারী গাড়ি যাতায়াত করে না।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঘুরপথে গাড়ি আসতে গিয়ে খরচ হচ্ছে দ্বিগুণ। হুগলি জেলা ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোনও সেতু দিয়েই পুলিশ ট্রাক চালাতে না দিলে আমরা কোথায় যাই? ঘুরপথে গেলে জিনিসের দাম বেশি পড়ে যাচ্ছে। আমাদের ক্ষতি হচ্ছে অনেক। কিন্তু কোনও প্রতিকার নেই।’’
এই সুযোগে এক শ্রেণির ইজারাদার গুপ্তিপাড়া পার ধরে ভেসেলে ট্রাক পারাপার করছে। এই পরিবহণের বৈধতা নিয়ে জেলা প্রশাসনিক মহলে নানা প্রশ্ন রয়েছে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গুপ্তিপাড়ার গঙ্গায় ভেসেল চালানোয় যদি কোনও অনিময় থাকে, কেউ পার পাবে না। পরিবহণের ক্ষেত্রে সমস্যা প্রতিকারের চেষ্টা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy