বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল পড়শি পরিবারের চার জনের বিরুদ্ধে। রবিবার ভোরে ধনেখালির পোড়াবাজারে ওই ঘটনায় নিহতের নাম কার্তিক হালদার (২১)। তিনি হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার পোড়াবাজার স্টেশন চত্বরের কয়েকটি দোকানে কাজ করতেন।
রবিবার সন্ধ্যায় মূল অভিযুক্ত কার্তিক রায় ও তাঁর ছেলে ভাস্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই ওই ঘটনা। জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক কর্তা জানান, খুনের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিহতের দাদা গোকুলের অভিযোগ, ‘‘পুরনো শত্রুতার জেরেই কার্তিকরা ভাইকে মেরে ফেলেছে।’’
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে কার্তিক রায়ের চায়ের দোকানে চুরি হয়। সেই ঘটনায় কার্তিক হালদারকে সন্দেহ করে কটূক্তি করা হত। তা নিয়েই গোলমাল। দিন কয়েক আগেও দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। গোকুল বলেন, ‘‘আমি কিছুটা দূরে থাকি। সকাল সওয়া ৭টা নাগাদ মায়ের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, ভাই রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে। হাঁটুর কাছে রক্ত।’’
পোড়াবাজারের নাকিরাপাড়ায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন নিহত কার্তিক। অভিযোগ, এ দিন ভোরে তাঁদের পড়শি কার্তিক রায় এবং তার পরিবারের কয়েকজন কার্তিককে ঘুম থেকে তুলে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ওই যুবককে রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরের চোটে কার্তিক লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা পালায়। গুরুতর জখম কার্তিককে ধনেখালি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।