ছবি : সুব্রত জানা।
ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়লেন উলুবেড়িয়ার আইসি রঞ্জিত ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন অতিরিক্ত নির্বাচনী অফিসার দিব্যেন্দু সরকার। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, তদন্তের পরে রঞ্জিতবাবুকে বদলি করার সঙ্গে সঙ্গে জরিমানাও করা হতে পারে। সেই টাকা কেটে নেওয়া হতে পারে তাঁর বেতন থেকে। আটকে যেতে পারে পদোন্নতি।
মঙ্গলবারই রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু এই ঘোষণার পরের দিনই দেখা যায়, উলুবেড়িয়ার খলিসানি গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগরে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করছে। আর তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জনা দশেক সিভিক ভলান্টিয়ার! বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে অবশ্য তড়িঘড়ি সিভিক ভলান্টিয়ারদের তুলে নেওয়া হয়। যদিও জেলা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, কমিশনের নির্দেশ প্রতিটি থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল যথাসময়ে। তা সত্ত্বেও কেন সিভিক ভলান্টিয়ার পাঠানো হয়েছিল? ওই দিন উলুবেড়িয়া থানা থেকে জানানো হয়েছিল, কমিশনের নির্দেশ লিখিত ভাবে তাদের হাতে আসে দুপুরের পর। সেটি আসার সঙ্গে সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারদের তুলে নেওয়া হয়।
কিন্তু এই যুক্তি দেখানো হলেও কমিশনের হাত থেকে বাঁচতে পারলেন না আইসি রঞ্জিত ঘোষ। জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা জানান, শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অবশ্য সে সংক্রান্ত নির্দেশ এসে পৌঁছয়নি। মাস ছয়েক আগে রঞ্জিতবাবু উলুবেড়িয়া থানায় যোগ দেন। একই থানায় তিন বছর যে সব আইসি ছিলেন, তাঁদের নির্বাচনের জন্য বদলি করে দেওয়া হয়। সেই নিয়ম মেনে দিন কয়েক আগে বদলি করা হয় উলুবেড়িয়ার আইসি সুব্রত ভৌমিককে। তাঁর জায়গাতেই আসেন রঞ্জিতবাবু। কিন্তু নির্বাচনবিধি ভঙ্গ করার জন্যই শাস্তির মুখে পড়তে হল তাঁকে। এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি রঞ্জিতবাবু। মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ জৈনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy