দিন পাঁচেক আগে আরামবাগের মুথাডাঙার একটি বাড়ির ছাদ থেকে শেখ সুন্দর (২৫) নামে এক চা ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পুলিশ খুনের মামলা করতে চাইছে না এবং তদন্ত করছে না, এই অভিযোগ তুলে রবিবার সকাল ৮টা থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা মুথাডাঙায় আরামবাগ-তারকেশ্বর রোড অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা। অবরোধের জেরে তারকেশ্বর এবং কলকাতার সঙ্গে আরামবাগ-সহ দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। আরামবাগ থানার আইসি অলোকরঞ্জন মুন্সি ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের ধরার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
তবে, পুলিশের দাবি, ঘটনার পর শনিবার পর্যন্ত মৃতের পরিবারের পক্ষে কেউ অভিযোগই জানাতে আসেননি। এ দিনই মৃতের দাদা, স্থানীয় মায়াপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ জামাল আলি তাঁর ভাইকে খুনের ঘটনায় দু’জনের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
শেখ সুন্দর মায়াপুরের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর চায়ের দোকান ছিল মুথাডাঙায়। যে বাড়ি থেকে তাঁর দেহটি মিলেছিল, তার পাশেই ছিল দোকানটি। কিন্তু ঘটনার দিন তাঁর দেহটি কী ভাবে ওই বাড়ির ছাদে গেল, সেই প্রশ্নে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। শেখ জামাল আলি বলেন, “ভাই যে দু’জনের সঙ্গে মদ খেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে চাই শুনে পুলিশ দুর্ব্যবহার করে। তাই অভিযোগ না জানিয়ে চলে আসি।” দুর্ব্যবহারের অভিযোগ মানেনি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy