Advertisement
E-Paper

মাধ্যমিকে সেরা দুই জেলার পাঁচ

পাশের হারে হুগলি রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার পরেই।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৯ ০০:৩০
অপেক্ষা: রেজাল্ট বিলি। পান্ডুয়া শশীভূষণ সাহা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ছবি: সুশান্ত সরকার

অপেক্ষা: রেজাল্ট বিলি। পান্ডুয়া শশীভূষণ সাহা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ছবি: সুশান্ত সরকার

পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের ছাপিয়ে গেলেও ফলের ক্ষেত্রে সেই সামঞ্জস্য দেখা গেল না হাওড়া ও হুগলিতে।

এ বছর হাওড়া মোট ২০ হাজার ৩৬০ জন ছেলে পরীক্ষার্থী ছিল। সেখানে মেয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ২৬ হাজার ৬৯৬। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ছেলেদের পাশের হার ৯১.৯৩ শতাংশ। আর মেয়েদের পাশের হার ৮৬.৯। শতাংশের হিসাবে ছেলেদের অনুত্তীর্ণের হার যেখানে ৬.৭৭, সেখানে মেয়েদের এই হার হল ১১.৮৬।

পাশের হারে হুগলি রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার পরেই। এই জে‌লায় পাশের হার ৮৯.০৭ শতাংশ। তবে সেই জেলাতেও পাশের হারে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরাই।

গত কয়েক বছর ধরেই হুগলিতেও ছাত্রদের তুলনায় মাধ্যমিকে বেশি সংখ্যক ছাত্রী পরীক্ষায় বসছে। পরিসংখ্যান বলছে, এ বার এই জেলায় মোট ৫৫ হাজার ৮৪ জন পরীক্ষায় বসেছিল। এর মধ্যে ছাত্র ছিল ২৪ হাজার ৩৯৬ জন। ছাত্রী ছিল ৩০ হাজার ৬৮৮ জ‌ন। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে ছেলেদের পাশের হার ৯৩.২৫ শতাংশ। সেই জায়গায় মেয়েরা বেশ কিছুটা পিছিয়ে। তাদের পাশের হার ৮৯.২২ শতাংশ। মেধা তালিকায় এই জেলার চার জন ছাত্র জায়গা করে নিয়েছে। তিনজনের পাশে রয়েছে এক ছাত্রী।

কেন ছবিটা এরকম?

কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফলে মেয়েদের স্কুলমুখি হওয়ার প্রবণতা বাড়লেও, তাদের মধ্যে পড়ার প্রবণতা কমছে বলেই দাবি করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটা অংশ। তাঁদের বক্তব্য, কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুফল পাওয়ার জন্য অনেক অভিভাবক মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়েই দায় সারেন। কিন্তু শুধু স্কুলে এলেই তো হয় না। বাড়িতেও শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলা দরকার। সেটা তাঁরা দেন না। বহু স্কুলে আবার বিভিন্ন চাপে টেস্টে অনুত্তীর্ণদেরও মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়। তারই কুফল দেখা যায় মাধ্যমিক

পরীক্ষার ফলাফলে। শুধু তাই নয়, প্রকল্পগুলির সুবিধা পেতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কোনওক্রমে পড়াশোনা চালায় ছাত্রীরা। ফলে ভাল ফল তো দূর, অনেক সময় সেই ছাত্রীকেই পাশ করানোই সমস্যার হয়ে যায়।

শিক্ষকদের একাংশের মত, এভাবে আলোচনা করলে সমাধানসূত্র মিলবে না। চলতি বছরের পরিসংখ্যান বদলে যেতে পারে পরের বছরেই। ভাল ফলের জন্য প্রয়োজন ইচ্ছা, মনের জোর আর মনোযোগ। সেক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে এই বিভেদ অমূলক।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

হুগলির বাগাটি রামগোপাল ঘোষ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পাশের হারে মেয়েরা কেন ছেলেদের ছুঁতে পারছে না, তা বলা কঠিন। কিছু ক্ষেত্রে পরিবারে দারিদ্রের কারণে মেয়েদের সংসারে সাহায্য করতে হয়। সে জন্য তারা ঠিকমতো স্কুলে আসতে পারে না। বাড়িতেও পড়ার পরিবেশ পায় না। অনেক সময় শারীরিক কারণেও অনুপস্থিত থাকে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তবে সামাজিক সুরক্ষার জন্য মেয়েদের মধ্যে পড়ার আগ্রহ বাড়ছে। স্কুলছুটের সংখ্যা কমছে। অভিভাবক, বিশেষ করে মায়েরা মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে সচেতন হচ্ছেন। এটা খুবই ভাল দিক।’’

হাওড়া জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শান্তনু সিংহ বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে মেয়েদের স্কুলমুখী হওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। তবে কেন তারা পাশের হারে পিছিয়ে থাকছে সে বিষয়ে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।’’

Madhyamik Result 2019 মাধ্যমিক Madhyamik Result Howrah Hooghly Madhyamik Merit list
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy