ফাঁকা: মহিষরেখা পিকনিক স্পট। —নিজস্ব চিত্র।
শীতের মরসুম এসে গেল। কিন্তু করোনা আবহে এই মরসুমে শনি, রবি-সহ ছুটির দিনগুলিতে হাওড়া জেলার বিভিন্ন ‘পিকনিক স্পট’-এ চড়ুইভাতির আসর বসবে কি? জল্পনা বাড়ছে বহু মানুষের মধ্যে। বিশেষ করে যাঁরা প্রতিবার দল বেঁধে এখানে পিকনিক করতে আসেন। তবে, পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি এ বার চড়ুইভাতি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে। এ ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি জেলা প্রশাসন।
জেলাশাসক মুক্তা আর্য বলেন, ‘‘আমরা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’’ জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
উলুবেড়িয়ার মহিষরেখায় দামোদরের ধারে, বাগনানের নাউপালায় এবং সামতাবেড়ে রূপনারায়ণের ধারে, জয়পুরে শিয়াগড়িতে ‘শর্টকাট চ্যানেল’ নামে একটি খালের ধারে প্রতি বছর চড়ুইভাতি করতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। এ ছাড়াও, গাদিয়াড়া এবং গড়চুমুকে জেলা পরিষদ অনুমোদিত পর্যটনকেন্দ্র এবং ফুলেশ্বরে সেচবাংলো সংলগ্ন মাঠে হুগলি নদীর ধারে চড়ুইভাতি হয়। আমপানে পরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা গড়চুমুক সম্প্রতি খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও সেখানে চড়ুইভাতির অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন। অন্য ‘পিকনিক স্পট’গুলিতেও এখন লোকজনের দেখা মিলছে না। অনেকেই মনে করছেন, শীতকালে চড়ুইভাতির সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িত। তাই এক শ্রেণির মানুষ আসবেনই। এ বিষয়ে যদি জেলা প্রশাসন স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা না দেয় বা প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ না করে, তা হলে ভিড় হতে পারে। তাতে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
‘মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতি’র সম্পাদক জয়িতা কুণ্ডু কুঁতি বলেন, ‘‘প্রশাসন যদি চড়ুইভাতি নিষিদ্ধই করে, তা হলে তা এলাকায় সাইনবোর্ড মেরে জানিয়ে দেওয়া উচিত। না হলে অত্যুৎসাহী চড়ুইভাতিপ্রেমীরা অচিরেই ভিড় জমাবেন বলে আমাদের আশঙ্কা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy