Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Pandua

মিল মেলেনি কেন, জানতে গিয়ে জুটল মার

স্থানীয় সূ্ত্রে জানা যায়, পান্ডুয়া ব্লকের রামেশ্বরপুর গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে গোপালনগর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মঙ্গলবার পড়ুয়াদের জন্য রান্না হয়নি।

নালিশ: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সুপারভাইজারকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীর। ছবি: সুশান্ত সরকার

নালিশ: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সুপারভাইজারকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীর। ছবি: সুশান্ত সরকার

নিজস্ব সংবাদদাতা
পান্ডুয়া শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৫৩
Share: Save:

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না না হওয়ার ফলে পড়ুয়ারা খেতে পায়নি। অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকেরা প্রতিবাদ করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। জখম হন এক অভিভাবক।

স্থানীয় সূ্ত্রে জানা যায়, পান্ডুয়া ব্লকের রামেশ্বরপুর গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে গোপালনগর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মঙ্গলবার পড়ুয়াদের জন্য রান্না হয়নি। বুধবার শুধু খিচুড়ি দেওয়া হয়। তরকারির ব্যবস্থা ছিল না। এত অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হন এবং বিষয়টি নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা ছায়া শীলের কাছে প্রশ্ন করেন। বাকবিতণ্ডা চলাকালীন ওই শিক্ষিকা আচমকাই সোমবারি মুর্মু নামে এক অভিভাবককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এতে গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে চার ঘণ্টা ওই শিক্ষিকাকে ঘেরাও করে রাখেন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে পান্ডুয়া থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে ব্লক অফিসের অফিসারেরা সেখানে যান। তাঁরা অভিযুক্ত শিক্ষিকা ছায়া শীল, রাঁধুনি অনিমা ঘোষ ও জখম অভিভাবক সোমবারি মুর্মুর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন এবং গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ শোনেন। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঠিকমতো রান্না হয় না। মাঝেমধ্যেই রান্না বন্ধ থাকে। রান্না হলেও বাচ্চারা পেট ভরে খেতে পায় না। প্রায় ডিম থাকে না।

এরপর এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সুপারভাইজ়ার ইন্দিরা সরকার ঘটনাস্থলে এলে গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে ধরে ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করার দাবি জানান। ইন্দিরাদেবী বিষয়েটা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে গ্রামবাসীরা শান্ত হন।

আহত অভিভাবক সোমবারি মুর্মু বলেন, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মঙ্গলবার রান্না হয়নি। আজ অল্প খিচুড়ি দিয়েছে। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য এসেছিলাম। তিনি হঠাৎ যে আমাকে মারধর করবেন, ভাবতে পারিনি। আমার চোট লেগেছে। আমার কোলে বাচ্চা ছিল, তারও আঘাত লেগেছে। ব্লক অফিস ও পুলিশকে সব ঘটনা জানিয়েছি।’’ অভিযুক্ত শিক্ষিকা ছায়া শীল বলেন, ‘‘কাল রান্না হয়নি ঠিকই। এর জন্য ক্ষমা চাইছি। আমার রাঁধুনি অনিমা ঘোষ ছুটিতে ছিলেন। আমি কাউকে মারধর করিনি। গ্রামবাসীরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’’ পান্ডুয়ার বিডিও স্বাতী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকাকে শো-কজ করা হয়েছে। বিষয়টার তদন্ত চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pandua Mid Day Meal Beating Guardian
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE