শেষ হল দীর্ঘ এক দশকের প্রতীক্ষা। ফের বড়দিনের উৎসবে মেতে উঠল শ্রীরামপুরের ঐতিহাসিক সেন্ট ওলাভ গির্জা। বিশেষ উপাসনা হল। সবুজ গালিচায় ছোটদের হই-হুল্লোড়, শুভেচ্ছা বিনিময় চলল দিনভর। উৎসবে সামিল হলেন বহু মানুষ।
দু’শো বছরেরও বেশি পুরনো স্থাপত্যটি কালের নিয়মে জীর্ণ হয়ে পড়েছিল। ২০১০ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত এবং বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করে সেটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা শ্রীরামপুর কলেজ। তার বছর চারেক আগে থেকেই বড়দিনের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সাল থেকে অবশ্য বর্তমান পিছনে হাঁটতে শুরু করে। ডেনমার্কের জাতীয় জাদুঘর, এ রাজ্যের হেরিটেজ কমিশন এবং রাজ্য প্রশাসনের মিলিত উদ্যোগে ওই বছর থেকে স্থাপত্যটি আমূল সংস্কারের কাজ শুরু হয়। পুরনো চেহারা অবিকল বজায় রেখেই ডেনিস আমলের স্থাপত্যটিকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে কাজ শেষ হয়। এই কাজের জন্য ইউনেস্কোর পুরস্কারও পেয়েছে স্থাপত্যটি।
রবিবার বড়দিনে গির্জাটি আলোয় সাজানো হয়েছে। সকাল থেকেই বহু মানুষ সমবেত হন। প্রার্থনা চলে। সবুজ গালিচায় ছুটে বেড়ায় ছোটরা। দেদার নিজস্বী ওঠে মোবাইলে। শ্রীরামপুর জননগরমণ্ডলীর ভারপ্রাপ্ত পুরোহিত রেভারেন্ড সুজয় সরকার বলেন, ‘‘বছর দশেক পরে ফের এখানে বড়দিনের উৎসব পালিত হল। মানুষের মধ্যে এত উৎসাহ দেখে আমরা আনন্দিত।’’
এ দিন শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায় গির্জায় আসেন। তিনি সুজয়বাবুকে ফুল এবং শাল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। গির্জাটির সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে খোঁজ নেন বিধায়ক। কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে জানানো হয়, আশপাশের কিছু ছেলে মাঝেমধ্যেই ওই চৌহদ্দিতে ঢুকে পড়ে।
বিধায়ক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ইতিহাস এই গির্জায় নতুন করে ফিরে এসেছে। স্থাপত্যটি যথাযথ ভাবে রক্ষার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy