Advertisement
E-Paper

দিল্লিতে উদ্ধার বাঙালি শ্রমিকের দেহ, শুরু বিতর্ক

সে কারণেই ঠাকুরদাসের আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ পরিবার। সন্দেহ, ওই যুবককে খুনই করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:১৪
মৃত: ঠাকুরদাস মাঝি। নিজস্ব চিত্র

মৃত: ঠাকুরদাস মাঝি। নিজস্ব চিত্র

দিল্লিতে হিরের কাজে গিয়ে হাওড়ার ডোমজুড়ের সাপেরডাঙা গ্রামের এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যুবকের নাম ঠাকুরদাস মাজি (৩০)। তিনি দিল্লির করোলবাগ এলাকায় একটি হিরের কারখানায় কাজ করতেন। যে বাড়িতে থাকতেন, সেখান থেকেই গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে দিল্লি পুলিশের অনুমান, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু তাঁর পরিবারের লোকের সন্দেহ, খুন করা হয়েছে ঠাকুরদাসকে। যদিও দিল্লির করোলবাগ থানা বা ডোমজুড়— কোথাও এখনও অভিযোগ দায়ের করেনি পরিবার।

ঠাকুরদাসের আত্মীয়েরা জানিয়েছেন, বছর কুড়ি ধরে তিনি বিভিন্ন রাজ্যে হিরের কাজই করতেন। পঞ্জাবের জলন্ধর থেকে দিন কয়েক আগে দিল্লির ওই সংস্থায় কাজ নেন। তাঁর ভাই দেবদাস মুম্বইয়ে সোনার কাজ করেন। ২৩ ডিসেম্বর ফোনে তাঁকে দাদার মৃত্যুসংবাদ দেন এক বন্ধু। দেবদাস মুম্বই থেকে উড়ানে দিল্লি রওনা দেন। ময়না-তদন্তের পরের দিন দেহ সৎকার করে ডোমজুড়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। এরপরেই ঘটনাটি জানাজানি হয়।

ঠাকুরদাসের মা সুনীতাদেবী ছেলের মৃত্যু আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে ছেলের ১৫ ডিসেম্বর রাতে মোবাইলে কথা হয়। ওর বিয়ে দেব বলে নতুন বাড়ি তৈরি হচ্ছে। তার খরচ বাবদ আমাকে ১০ হাজার টাকা পাঠাবে বলেছিল।’’ মায়ের দাবি, ছেলের কথাবার্তা শুনে একবারের জন্যও মনে হয়নি সে কোনও সমস্যায় আছে। সে কারণেই ঠাকুরদাসের আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ পরিবার। সন্দেহ, ওই যুবককে খুনই করা হয়েছে।

কিন্তু কেন এমন সন্দেহ?

সুনীতাদেবীর কথায়, ‘‘আমার ছেলে একজনের কাছ থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকা পেত। তা নিয়ে গোলমালের জেরে ওকে খুন করা হতে পারে বলে আমার সন্দেহ।’’ একই কথা জানান দেবদাস। তিনি বলেন, ‘‘তড়িঘড়ি আমি পুলিশের কাছ থেকে দেহ নিয়ে নিই। কাগজপত্রেও পুলিশ আমাকে দিয়ে সই করিয়ে নেয়। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জেনেছি, দাদার পা ঝুলন্ত অবস্থায় মাটিতে ঠেকেছিল। আমারও সন্দেহ দাদাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

ঠাকুরদাসের পরিবার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায়। রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন, তদন্তের জন্য যেন দিল্লি পুলিশকে চাপ দেওয়া হয়।

Delhi Youth
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy