উড়ালপুলে এঠা নিষেধ, ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে লাইন পারাপার। ছবি: সুব্রত জানা।
বাগনানে উড়ালপুল চালু হওয়ার পরে রেল কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি বন্ধ করে দিল বাগনান লেভেল ক্রসিং।আর এর জন্যই সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় রিকশাচালক থেকে সাইকেলে নিয়ে যাতায়াত করা যাত্রীরা। কারণ রেল গেট পুরোপুরি বন্ধ থাকায় ওপারে যাওয়ার একমাত্র উপায় হল উড়ালপুল। অথচ নতুন চালু হওয়া উড়ালপুলে সাইকেল, ভ্যানরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে লাইনের দুই পার থেকেই সাইকেলে নিয়ে যাতায়াত করা লোকজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রেল গেট থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে গিয়ে সাইকেল ঘাড়ে করে ঝুঁকি নিয়ে লাইন পারাপার করতে হচ্ছে। যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে বাগনানের উত্তর থেকে দক্ষিণে যাতায়াতের যোগাযোগ একপ্রকার ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
গত ১ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ার এক অনুষ্ঠান থেকে রিমোট কন্ট্রোলে উদ্ধোধন করেছিলেন দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় বাগনান উড়ালপুলের। উড়ালপুলের জন্যএলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। ইতিমধ্যে সেতুটি দিয়ে যান চলাচলও শুরু হয়ে গিয়েছে। এতে দূরের যাত্রীদের সুবিধা হলেও স্থানীয় যাঁরা লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে যাতায়াত করতেন তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। কারণ উড়ালপুল দিয়ে গাড়ি চলাচল করলেও ভ্যানরিকশা কিংবা ট্রলি, সাইকেল যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু বাগনানের মুরালীবাড়, বেড়াবেড়িয়া, এনডি ব্লক, শীতলপুর, মহাদেবপুর, খালোড়-সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন সাইকেল নিয়ে লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে যাতায়াত করতেন। প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার লোক নিত্য এই পথে যাতায়াত করতেন বাজার, হাসপাতাল, বাসস্ট্যান্ড। এ ছাড়াও প্রচুর স্কুল-কলেজ পড়ুয়াও এই রাস্তায় যাতায়াত করত। কিন্তু এখন লেভেল ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। নিরুপায় হয়ে অনেকেই লাইন পেরিয়ে যাতায়াত করছেন। ললিত কুমার বসাক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “লাইন টপকে জীবনের ঝঁুকি নিয়েই পারাপার হতে হচ্ছে। কারণ আমরা নিরুপায়। উড়ালপুলে সাইকেলে যাতায়াতে নিষেধ না থাকলে এই সমস্যা থাকত না। পথচারীদের ভোগান্তি কমাতে প্রশাসনের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা উচিত।”
বাগনান স্টেশনের ম্যানেজার উত্সব রায় বলেন, “এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। কারণ উড়ালপুলটি তৈরি হওয়ার সময় পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথাই হয়েছিল যে এই সেতু চালু হলে রেলগেট বন্ধ হয়ে যাবে।” পূর্ত দফতরের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দীপক চন্দ্র বলেন, “উড়ালপুলটি বড় গাড়ি চলাচলের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। রিকশা বা সাইকেল যাতায়াত করলে দুর্ঘটনার সম্ভবনা থাকবে। তাই ছোট যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।” উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক নিখিল নির্মল বলেন, “সমস্যার কথা জেনেছি। রেল এবং পূর্ত দফতরের সঙ্গে বৈঠক করে কী ভাবে এর সমাধান করা যায় দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy