Advertisement
E-Paper

ফোর্ট গ্লস্টার খুলতে শ্রমমন্ত্রীর বৈঠকে ঐক্যমত্য

এগারো বছর ধরে বন্ধ বাউড়িয়ার ফোর্ট গ্লস্টার কেব্ল কারখানা চালু নিয়ে কিছুটা আশার আলো ফুটল। বৃহস্পতিবার শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক কারখানা চালাতে আগ্রহী একটি নতুন সংস্থা, ব্যাঙ্ক, অন্যান্য ঋণদানকারী সংস্থা ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে মালিকানার বদল ঘটিয়ে কারখানা চালুর বিষয়ে সব পক্ষই ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে বলে শ্রম দফতরের দাবি। নতুন যে সংস্থা কারখানা চালাতে রাজি হয়েছে, শ্রমিকদের দাবি মেটানোর বিষয়ে তারা লিখিত প্রতিশ্রুতির আশ্বাস দেওয়ায় খুশি শ্রমিক সংগঠনগুলি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৫৬
ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

এগারো বছর ধরে বন্ধ বাউড়িয়ার ফোর্ট গ্লস্টার কেব্ল কারখানা চালু নিয়ে কিছুটা আশার আলো ফুটল।

বৃহস্পতিবার শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক কারখানা চালাতে আগ্রহী একটি নতুন সংস্থা, ব্যাঙ্ক, অন্যান্য ঋণদানকারী সংস্থা ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে মালিকানার বদল ঘটিয়ে কারখানা চালুর বিষয়ে সব পক্ষই ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে বলে শ্রম দফতরের দাবি। নতুন যে সংস্থা কারখানা চালাতে রাজি হয়েছে, শ্রমিকদের দাবি মেটানোর বিষয়ে তারা লিখিত প্রতিশ্রুতির আশ্বাস দেওয়ায় খুশি শ্রমিক সংগঠনগুলি।

বর্তমানে কারখানাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিআইএফআর-এ শুনানি চলছে। কারখানাটি কারা চালাবে তা ওই সংস্থাই ঠিক করবে। শ্রম দফতরের কর্তারা জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত বিআইএফআর-এ জানানো হবে। বর্তমান প্রোমোটারের প্রস্তাব বিআইএফআর-এ গেলেও কোনও পরিস্থতিতে ব্যাঙ্ক, ঋণদানকারী সংস্থা, শ্রমিক সংগঠনগুলি এবং রাজ্য সরকার ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিলে তা ওই সংস্থা সচরাচর অগ্রাহ্য করে না।

শ্রমমন্ত্রী বলেন, “একটি নতুন সংস্থার প্রস্তাবকে ব্যাঙ্ক গ্রহণযোগ্য মনে করেছে। ওই সংস্থা শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ড ফান্ড এবং রাজ্য সরকারের পাওনা দু’কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ফলে, নতুন সংস্থার দাবিই অগ্রাধিকার পাচ্ছে।” কারখানার বর্তমান প্রোমোটারদের পক্ষে এস আর পোদ্দার বলেন, “আমাদের প্রকল্প বিআইএফআর-এ অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু অন্য একটি সংস্থা ওই অনুমোদন চ্যালেঞ্জ করে মামলা করায় বিষয়টি নিস্পত্তি হয়নি। বিআইএফআর যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে।”

নয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে রুগ্ণ হতে শুরু করে এই কারখানা। ২০০৩ সালের ৩ ডিসেম্বর কর্তৃপক্ষ কারখানায় কাজ বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তখন ছিল প্রায় ১৩০০ শ্রমিক।

শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে একবার শ্রমিক-মালিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে কারখানা খোলার চেষ্টা হয়। কিন্তু তা সফল হয়নি। বিআইএফআর সম্প্রতি ঠিক করে বিজ্ঞাপন দিয়ে এই কারখানা চালানোর জন্য প্রোমোটার নির্বাচন করা হবে। বিআইএফআর-এর তরফে এই কারখানার আর্থিক লেনদেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত (অপারেটিং এজেন্সি) আইডিবিআই-কে প্রোমোটার নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা যে বিজ্ঞাপন দেয়, তাতে বর্তমান প্রোমোটার ছাড়াও অন্য একটি সংস্থা অংশ নেয়।

কারখানা চালানোর জন্য বর্তমান প্রোমোটার ১৮০ কোটি টাকার পুনরুজ্জীবন প্রকল্প জমা দেয়। তার মধ্যে ২৪ কোটি টাকা তারা আইডিবিআইয়ের কাছে জমা রাখার প্রস্তাব দেয়। অন্য সংস্থাটি ১৩০ কোটি টাকার পুনরুজ্জীবন প্রকল্প এবং তার মধ্যে ৩৭ কোটি টাকা জমা রাখার প্রস্তাব দেয়। বর্তমান প্রোমোটার প্রাথমিক নগদ জমার পরিমাণ বাড়ানো নিয়ে কোনও উত্তর না দেওয়ায় সংস্থাটিকেই ডেকে বৃহস্পতিবার বৈঠক করা হয়।

বৈঠকে হাজির টিইউসিসি-র পক্ষ থেকে তাপস চক্রবর্তী, আইএনটিইউসি-র পক্ষ থেকে আবেশ ঘোষ বলেন, ‘‘কোন প্রোমোটার কারখানা চালাবেন, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমরা চাই এখানে কেব্ল কারখানাই হোক। শ্রমিকদের বকেয়া মেটানো হোক। কাউকেই যেন ছাঁটাই করা না হয়। লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রস্তাব নতুন সংস্থা মেনে নিয়েছে।”

fort gloster bauria cable factory southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy