এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিজেপির তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের বালিগোড়ি পঞ্চায়েতের কলাপুকুর গ্রামে। ধৃতদের নাম গণেশ চক্রবর্তী, নিহার হালদার এবং আখতার আলি মণ্ডল। গণেশবাবু বিজেপির তারকেশ্বর গ্রামীণ মণ্ডলের সভাপতি। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তারকেশ্বরে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেলে গণেশবাবু-সহ বিজেপির বেশ কিছু লোক কলাপুকুর গ্রামে এক দলীয় সমর্থকের বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযোগ, ওই পরিবারের লোকজনকে গালিগালাজ করা হয়। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। হুমকি দেওয়া হয়। এক মহিলার শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। ওই মহিলা তারকেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই রাতে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করেন তারকেশ্বর থানার ওসি বরুন মিত্র। বুধবার ধৃতদের চন্দননগর আদালতে তোলা হলে ৩ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে যোগসাজস করে ওই তিন জনকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁরা আদপেই ওই বাড়িতে যাননি। গত সোমবার আখতারের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তৃণমূলের লোকেরা। গণেশবাবু, নীহারবাবু এবং আখতার থানায় অভিযোগ জানাতে যান। থানা চত্বরেই তাঁদের অভিযোগপত্রটি এক তৃণমূল নেতা ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। এর পরেই গণেশবাবুর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল সমর্থক পরিবারের ওই মহিলা।
জেলা বিজেপি নেতা স্বপন পাল বলেন, “তারকেশ্বরে আমাদের সংগঠন মজবুত হচ্ছে গণেশবাবুর হাত ধরে। তাই ভয় পেয়ে ওঁকে, নীহারবাবু এবং আখতারকে ফাঁসানো হল। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।” পুলিশের বক্তব্য, অভিযোগ মোতাবেক তারা ব্যবস্থা নিয়েছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই। বালিগোড়ী ২ পঞ্চায়েতের প্রধান, যুব তৃণমূলের নেতা সঞ্জয় বেলেল বলেন, “ঘটনাস্থলে এলেই দেখতে পাবেন, ওরা ঘর ভাঙচুর করেছে কি না। তৃণমূল এখানে কখনও অন্যায় কাজ করেনি। অন্যায় বরদাস্তও করে না। বিজেপি অপপ্রচার চালাচ্ছে।”