Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

হোমের আবাসিককে ধর্ষণে যাবজ্জীবন

দু’দিন আগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। গুড়াপের ‘দুলাল স্মৃতি সংসদ’ হোমের এক আবাসিককে ধর্ষণের দায়ে শনিবার শ্যামল ঘোষকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল চুঁচুড়া আদালত। এই শ্যামলই ওই হোমের আবাসিক গুড়িয়া হত্যাতেও অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত। সেই মামলাটির শুনানি এখনও চলছে। এ দিন চুঁচুড়া আদালতের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মানস বসু ওই হোমের তৎকালীন সম্পাদক উদয়চাঁদ কুমারের ঘনিষ্ঠ, গুড়াপেরই বাসিন্দা শ্যামলকে ওই সাজা শোনান।

সাজা ঘোষণার পর চুঁচুড়ার আদালত চত্বরে শ্যামল। ছবি: তাপস ঘোষ

সাজা ঘোষণার পর চুঁচুড়ার আদালত চত্বরে শ্যামল। ছবি: তাপস ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৪ ০০:৫৪
Share: Save:

দু’দিন আগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। গুড়াপের ‘দুলাল স্মৃতি সংসদ’ হোমের এক আবাসিককে ধর্ষণের দায়ে শনিবার শ্যামল ঘোষকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল চুঁচুড়া আদালত। এই শ্যামলই ওই হোমের আবাসিক গুড়িয়া হত্যাতেও অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত। সেই মামলাটির শুনানি এখনও চলছে।

এ দিন চুঁচুড়া আদালতের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মানস বসু ওই হোমের তৎকালীন সম্পাদক উদয়চাঁদ কুমারের ঘনিষ্ঠ, গুড়াপেরই বাসিন্দা শ্যামলকে ওই সাজা শোনান। মামলার সরকারি আইনজীবী বিদ্যুৎ রায়চৌধুরী জানান, অভিযোগকারিণী আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। স্বামী-বিচ্ছিন্না হয়ে তিনি গুড়াপের ওই হোমে আশ্রয় পান। অসহায়তার সুযোগ নিয়ে শ্যামল তাঁর উপরে অত্যাচার চালায়। বিচারক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ছাড়াও শ্যামলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। ২০১২ সালের জুলাই মাসে গুড়াপের ওই হোম চত্বরের মাটি খুঁড়ে আবাসিক গুড়িয়ার দেহ মেলে। তাঁর উপরে অত্যাচার চালিয়ে খুনের অভিযোগে উদয়চাঁদ এবং শ্যামল-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার পাওয়ার পরে সিআইডি-র তদন্তকারীরা হোমে গেলে ঝাড়খণ্ডের ওই আবাসিক তাঁদের কাছে অভিযোগে জানান, শ্যামল তাঁকে ভাঁড়ার ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট মামলা রুজু হয়। ডাক্তারি পরীক্ষাতেও ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। সেই মামলারই নিষ্পত্তি হল এ দিন। গুড়াপের হোমটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘সিল’ করে দেওয়া হয়। অভিযোগকারিণী বর্তমানে জাঙ্গিপাড়ার একটি হোমে রয়েছেন। এ দিন সাজা শোনার পরে আদালত থেকে মুখ নিচু করে বেরিয়ে পুলিশের গাড়িতে উঠে পড়ে শ্যামল।

অস্বাভাবিক মৃত্যু

অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক বধূর। শনিবার খানাকুলের কোটাসিয়া গ্রামে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তনুশ্রী বাগ(২৪) নামে ওই বধূর দেহ মেলে। তনুশ্রীদেবীর বাবার অবশ্য অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে চলা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছে তাঁর মেয়ে। অভিযোগ পেয়ে তনুশ্রীদেবীর স্বামী পিন্টু বাগ এবং শ্বাশুড়ি শ্যামলী বাগকে গ্রেফ তার করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rape gurap
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE