উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় দিনের পরীক্ষায় ঝাড়গ্রামের এই ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে। প্রতীকী ছবি।
পরীক্ষা শেষে এক ছাত্রী জমা দিল প্রশ্নপত্র। আর উত্তরপত্র নিয়ে গেল বাড়িতে। উত্তরপত্র মেলানোর সময় বিষয়টি নজরে আসে স্কুলের। তড়িঘড়ি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই পরীক্ষার্থীর বাড়ি গিয়ে উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় দিনের পরীক্ষায় ঝাড়গ্রামের এই ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে।
ঝাড়গ্রাম শহরের একটি স্কুলের ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল শহরেরই আর একটি স্কুলে। এ দিন রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে ওই ছাত্রী টোটো চেপে বাড়ি ফেরে। তার দাবি, সে বুঝতেই পারেনি যে, ভুল করে উত্তরপত্র জমা না দিয়ে নিয়ে এসেছে। তবে তত ক্ষণে পরীক্ষাকেন্দ্রে তোলপাড় চলছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ফোন করে ওই পরীক্ষার্থীর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার থেকে ছাত্রীর ঠিকানা জানেন। তার পর পুলিশ নিয়ে দুই স্কুলের কর্মীরা ছাত্রীর বাড়িতে পৌঁছন। মেয়েটি তখন সবে বাড়ি পৌঁছেছে। প্রশ্নের মুখে সে জানায়, উত্তরপত্র জমা দিয়েছে। কিন্তু তার ব্যাগ খুলে দেখা যায়, ভিতরে রয়েছে উত্তরপত্রটি। সেখানেই খাতা জমা নেওয়া হয়। ওই পরীক্ষার্থীর দাবি, ‘‘আমি প্রশ্নপত্র ভেবেই ভুল করে ব্যাগে উত্তরপত্রটা ঢুকিয়ে নিয়েছিলাম।’’
এ বছর যারা উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছে, করোনায় তাদের মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। ফলে, স্কুলের বাইরে বড় পরীক্ষা এই প্রথম। কিন্তু স্কুলে তো তারা এত বছর ধরে পরীক্ষা দিয়েছে। ফলে এমন ভুল কী করে হয়, সেই প্রশ্ন উঠেছে। পরিদর্শকই বা কী করে প্রশ্নপত্র জমা নিলেন, প্রশ্ন সেখানেও।
এবিটিএ-র ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক চঞ্চল সাঁতরা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও ওই পরীক্ষার্থীর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য, ‘‘মেয়েটি জানিয়েছে, সে ভুল করেছে। এরা তো মাধ্যমিক দেয়নি। বাইরে গিয়ে এই প্রথম পরীক্ষা দিচ্ছে।’’
নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বেরোলে আর উত্তরপত্র জমা নেওয়া যায় না। তবে এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি যাচাই করেই বাড়ি থেকে উত্তরপত্র আনানো হয়েছে বলে জানান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তথা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আহ্বায়ক শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘অনভিপ্রেত ঘটনা। সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্কও করা হয়েছে। তবে যাচাই করে দেখা গিয়েছে, ওই পরীক্ষার্থীর কোনও দোষ নেই। তাই উত্তরপত্র জমা নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy