প্রায় ২৪ বছর আগের এক রাতে রান্না করার পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অনেক খুঁজেও সন্ধান মেলেনি। পুলিশের সহযোগিতায় সেই নিখোঁজ হওয়া স্ত্রীকে অবশেষে খুঁজে পেলেন বর্ধমানের বাসিন্দা, প্রৌঢ় মানিক দত্ত। বাঁ পায়ে গুরুতর চোট নিয়ে সেই প্রৌঢ়া এখন হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মোবাইল ডিউটি করার সময়ে হাওড়া থানার এএসআই চন্দ্রশেখর ঘোষের কাছে খবর আসে, এক মানসিক প্রতিবন্ধী প্রৌঢ়া বঙ্কিম সেতুর নীচে গাড়ি ধাক্কায় গুরুতর
চোট পেয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চন্দ্রশেখরবাবু হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, ওই প্রৌঢ়ার নাম গৌরীবালা দত্ত। স্বামীর নাম মানিক দত্ত। শ্বশুরবাড়ি বর্ধমানের ফরিদপুর থানার পলাশডিহায়।
খবর পেয়ে হাওড়া থানা থেকে রাতেই যোগাযোগ করা হয় ফরিদপুর থানায়। ওই থানা থেকে খবর যায় গৌরীদেবীর স্বামী মানিকবাবুর কাছে। এর পরে ভোরবেলা বর্ধমান থেকে হাওড়ায় ছুটে আসেন মানিকবাবু।
এত বছর পরে স্ত্রীকে পেয়ে তাঁর আনন্দ গোপন করেননি মানিকবাবু। তিনি বলেন, ‘‘ওর মানসিক রোগের চিকিৎসা চলছিল। কখন কী করত, নিজেই জানত না। এক দিন রাতে ভাত রান্না করার পরে সে-ই যে চলে গেল, আর পাইনি। অনেক খুঁজেছি। এত বছর পরে ওকে যে ফিরে পাব, ভাবতেই পারিনি। ছেলেমেয়েরাও ওদের মাকে পেয়ে খুব খুশি হবে।’’ মানিকবাবু জানান, স্ত্রীকে দেখার পরে প্রথম কিছুক্ষণ অঝোরে কেঁদেছেন তিনি। কথা বলতে পারেননি। আর গৌরীদেবী? তিনি কী বললেন স্বামীকে? মানিকবাবু জানান, প্রথম ঘণ্টা দেড়েক স্বামীকে চিনতে পারেননি তিনি। তার পরে ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন, সামনে বসা ভদ্রলোক কে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy