শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
বিজেপি বিধায়করা পুরভোটে লড়তে চাইলে তাঁকে জানাতে হবে। তিনিই দলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবেন। দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বিধানসভার নৌশার আলি কক্ষে পরিষদীয় দলের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।
সব ঠিকঠাক চললে ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখ বা তার আশেপাশে কলকাতা, হাওড়া ও বিধাননগর পুরসভার নির্বাচন হবে। এই তিন পুর এলাকায় অবশ্য বিজেপি-র কোনও বিধায়ক নেই। কিন্তু তিন পুরভোট মিটে গেলেই হতে পারে রাজ্যের বাকি শতাধিক পুরসভার নির্বাচন। সেই ভোটে বিধায়করা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলে দল অবশ্যই তাঁদের সুযোগ দেবার কথা ভাববে, এমনই বার্তা দিলেন শুভেন্দু। প্রার্থী হতে ইচ্ছুক হলে বিজেপি-র দলীয় পদ্ধতি মেনে আবেদন করতে বলা হয়েছে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কাছে।
শুক্রবার বিধানসভার নৌশার আলি কক্ষে পরিষদীয় দলের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক শুভেন্দুর। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি পরিষদীয় দলে এমন বিধায়ক রয়েছেন যাঁরা বিভিন্ন সময়ে পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। যেমন রানাঘাট পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রাক্তন তৃণমূল নেতা রানাঘাটের আগামী পুরভোটে গেরুয়া শিবিরের মুখ হতে পারেন বলে খবর। শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ ছিলেন সিপিএমের প্রতীকে নির্বাচিত কাউন্সিলর। শুধু তাই নয়, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভায় মেয়র-ইন-কাউন্সিলও ছিলেন শংকর। শিলিগুড়ি পুরসভায় তিনিই বিজেপি-র সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী।
বিজেপি পরিষদীয় দলের বেশির ভাগ সদস্য নতুন। প্রথমবার ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। পুরভোটে তাদের অনেককেই ফের ভোটের ময়দানে দেখা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy