তিন দিনের পথ পেরিয়ে বাপের বাড়ি পৌঁছেছে খালেদা লস্কর (ছদ্মনাম)।
১৫ বছরের খালেদার বিয়ে হয়েছিল কাশ্মীরে। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক, মানসিক ও যৌন অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে সে পালিয়ে এসেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের পাশের এক গ্রামে খালেদার বাপের বাড়ি। গত সোমবার রাতে খালেদা সেখানে পৌঁছয়। কিন্তু বাপের বাড়ির লোক তাকে কাশ্মীর ফিরে যেতে চাপাচাপি শুরু করেন। বুধবার খালেদা জানায়, কিছুতেই সে আর শ্বশুরবাড়ি যাবে না।
খালেদার এ বার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার কথা ছিল। অভিযোগ, মথুরাপুর কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের ছাত্রী খালেদার সঙ্গে কাশ্মীরের এক গ্রামের এক প্রৌঢ়ের বিয়ে দিয়ে দেন বাবা-মা। এ দিন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতির কাছে গিয়ে খালেদা জানায়, সে আর শ্বশুরবাড়ি যেতে চায় না। পড়াশোনা করতে চায়। চন্দনবাবু বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, বাড়ির লোক মেয়েটিকে কাশ্মীরে মধ্যবয়সি লোকটির কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন।’’ খালেদা যে আর কাশ্মীরে ফিরতে চায় না, স্কুলের হস্টেলে থেকে পড়তে চায়, সেই বিষয়ে তার লিখিত আবেদনের প্রতিলিপি মথুরাপুর থানায় ই-মেল করে পাঠিয়ে দিয়েছেন চন্দনবাবু। প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের কাছেও।