E-Paper

বাতিল করা হবে বেআইনি জনজাতি শংসাপত্র, নির্দেশ

প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, এত দিন মহকুমাশাসক (এসডিও) স্তরেই এই শংসাপত্র দেওয়া হত। এ বার থেকে জেলাশাসকদের অনুমোদন লাগবে।

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৪
representational image

—প্রতীকী ছবি।

তফসিলি জনজাতিভুক্ত শংসাপত্র দেওয়ায় যে গরমিল ছিল, তা কার্যত মেনে নিল রাজ্য সরকার। এই ‘ত্রুটি’ সংশোধনে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশও দিয়েছে নবান্ন।

প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, এত দিন মহকুমাশাসক (এসডিও) স্তরেই এই শংসাপত্র দেওয়া হত। এ বার থেকে জেলাশাসকদের অনুমোদন লাগবে। জেলাশাসকদের অনুমোদন লাগবে সেই সব কেসে, যাঁদের পদবি তফসিলি জনজাতিভুক্তদের সঙ্গে মিলছে না। অনলাইনে তফসিলি জনজাতি শংসাপত্রের আবেদন নিষ্পত্তির সময়ে সংশ্লিষ্ট পোর্টালে কারণও জানাতে হবে আধিকারিককে।

সব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেছে নবান্নের শীর্ষমহল। সূত্রের দাবি, যাঁদের পদবি তফসিলি জনজাতিভুক্তদের পদবির সঙ্গে মিল নেই সেই সব শংসাপত্র খুঁজে বের করতে হবে বলে নির্দেশ পৌঁছেছে। বলা হয়েছে, সশরীরে গিয়ে অথবা শুনানি করে প্রকৃত শংসাপত্র যাচাই করে বাকি বাতিল বা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের ব্যাপারে খোঁজখবর এবং শংসাপত্র কী ভাবে দেওয়া হল, তার রিপোর্টও তৈরি করতে হবে।

গত পঞ্চায়েত ভোটে ‘ভুয়ো’ তফসিলি জনজাতিভুক্ত শংসাপত্র দাখিলের অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে মামলা গড়ায় আদালতেও। ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তিন আধিকারিককে সাসপেন্ডও করা হয়। এর পরেই নড়েচড়ে বসে নবান্ন।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত ১৬ অগস্ট সব এসডিএ-দের লিখিত নির্দেশে সেই সব শংসাপত্র খতিয়ে দেখতে বলা হয়, যাঁদের পদবি তফসিলি জনজাতিভুক্তদের সঙ্গে
মিলছে না। ২৮ অগস্ট সব জেলাশাসককে যাচাই-প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখে, পদক্ষেপ করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। ৫ সেপ্টেম্বর সব জেলাশাসককে গোটা প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি এবং প্রয়োজনে সেই সব শংসাপত্র বাতিল বা বাজেয়াপ্ত করতে বলে রাজ্য। শুক্রবার থেকে তফসিলি জনজাতিভুক্ত শংসাপত্রের ‘অস্কার’ পোর্টালে ‘কমেন্ট বক্স’ চালু করা হয়েছে। যেখানে এমন আবেদন নিষ্পত্তির সময়ে কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।

প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, ২৩টি জেলা মিলিয়ে প্রায় ৪১ হাজার ঘটনা (কেস) চিহ্নিত করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর। জেলাগুলি চিহ্নিত করেছে প্রায় ৩৪ হাজার। শুনানির নোটিস দেওয়া হয়েছে প্রায় ১০ হাজার। ন্যায্য পাওয়া গিয়েছে ৮৬৬টি এবং ন্যায্য নয় এমন সংখ্যা ৩২৫টি। এখনও পর্যন্ত বাতিলের সংখ্যা ১৬০টি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nabanna Caste Certificate Mamata Banerjee

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy