Advertisement
১৮ মে ২০২৪

অস্ত্র কারখানার হদিস, ধৃতের পরিচয় নিয়ে চাপানউতোর

অস্ত্র কারখানার হদিস মিলল হাড়োয়ার গ্রামে। গ্রেফতার করা হল তিনজনকে। আর যাকে কেন্দ্র করে শনিবার দিনভর উত্তাল হল স্থানীয় রাজনীতি। শাসক দলের অভিযোগ, কারখানা চালাচ্ছিল সিপিএমের এক নেতা। সিপিএমের পাল্টা দাবি, ধৃত ব্যক্তি তৃণমূল করে। শুক্রবার ঘটনাস্থল হাড়োয়ার গোপালপুর ১ পঞ্চায়েতের সাঁতরাপাড়া গ্রাম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০০:৫৮
Share: Save:

অস্ত্র কারখানার হদিস মিলল হাড়োয়ার গ্রামে। গ্রেফতার করা হল তিনজনকে। আর যাকে কেন্দ্র করে শনিবার দিনভর উত্তাল হল স্থানীয় রাজনীতি। শাসক দলের অভিযোগ, কারখানা চালাচ্ছিল সিপিএমের এক নেতা। সিপিএমের পাল্টা দাবি, ধৃত ব্যক্তি তৃণমূল করে।

শুক্রবার ঘটনাস্থল হাড়োয়ার গোপালপুর ১ পঞ্চায়েতের সাঁতরাপাড়া গ্রাম। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি রিভলবার এবং আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম। শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয় বাসুদেব সাঁতরা-সহ তিনজনকে। বাসুদেববাবুর পরিবারের দাবি, চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে তাকে।

পুলিশের দাবি, ধৃতদের বিরুদ্ধে আগেও নানা অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ আছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) গৌরভ লাল বলেন, ‘‘অস্ত্র কারখানাটি চালাত বাসুদেব সাঁতরা। ধৃত বাকি দুই দুষ্কৃতী সেখান থেকে নেওয়া অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত।’’ ওই কারখানায় থাকা আরও অস্ত্র কোথায় রাখা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। বাসুদেব এবং আব্দুর রহিম এবং আসাদুল ইসলাম মণ্ডলকে শনিবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ৭ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

বাসুদেবের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর।

বাসুদেবের স্ত্রী চায়না সাঁতরা বলেন, ‘‘সিপিএম করে বলে চক্রান্ত করে স্বামীকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।’’ সিপিএম নেতা শেখ সহিদুল্লা বলেন, ‘‘ধৃতেরা তো তৃণমূল করে বলে জানি। এখন প্রয়োজন ফুরনোয় পুলিশ লেলিয়ে ওকে গ্রেফতার করিয়েছে।’’

এ বিষয়ে হাড়োয়া ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সঞ্জু বিশ্বাস বলেন, ‘‘সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে সিপিএমের বাসুদেব বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্রের কারখানা খুলেছিলেন। এ কথা অনেকেরই জানা থাকলেও এত দিন কেউ মুখ খোলার বলতে সাহস পায়নি।’’ স্থানীয় সূত্রে অবশ্য বাসুদেবকে ‘সিপিএম ঘনিষ্ঠ’ বলেই জানা গিয়েছে। মেছোভেড়ি এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

কিন্তু কী ভাবে মিলল অস্ত্র কারখানার হদিস?

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা এলাকার হরপুকুর থেকে একটি পাইপগান-সহ ধরা পড়ে দাগি দুষ্কৃতী আব্দুর রহিম। পুলিশের দাবি, জেরায় ওই দুষ্কৃতী জানায়, বাসুদেব সাঁতরার বাড়ি থেকে অস্ত্র কেনার কথা জানায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

illegal weapons factory weapons factory Basirhat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE