স্বাস্থ্য বিল নিয়ে চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আদালতে যাওয়ার হমকি দিলেও তাকে আমলই দিচ্ছে না নবান্ন। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার যেমন এগোচ্ছে, তেমনই এগিয়ে যাবে বলে নবান্ন সূত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা কেন হবে, রবিবার সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন আইএমএ-র সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। প্রয়োজনে এ নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।
সোমবার নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, সমালোচনা এবং হুমকিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। নবান্নের সূত্রটি বলেন, ‘‘এই বিল মানুষের হয়রানি বন্ধ করবে। কে কী বলল, কে সমালোচনা করল, তাকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রশ্নই নেই।’’
আইএমএ-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই জনমোহিনী পথে হেঁটে এই বিলটি এনেছে। ওই বিল প্রত্যাহার করা না হলে দেশ জুড়ে চিকিৎসকেরা প্রতিবাদে নামবেন বলেও দাবি সংগঠনের। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডাকে ঘরোয়া ভাবে বিলটি নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কিন্তু বিলটিকে সাধারণ মানুষ যে ভাবে সমর্থন করেছেন, তাতে মেপে পা ফেলতে চায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নড্ডা এ দিন বলেন, ‘‘বিলটিতে কী আছে, তা দেখে তবেই মন্তব্য করা ঠিক হবে।’’ ঘনিষ্ঠ মহলে মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিলটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য দিল্লি এলে এ বিষয়ে মতামত দেবে মন্ত্রক। কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করবে কেন্দ্র।
সংগঠনগত ভাবে রাজ্য আইএমএ তাদের কেন্দ্রীয় সংগঠনের এ হেন মনোভাবের বিরোধী। আইএমএ-র রাজ্য শাখার সম্পাদক তথা তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন বলেছেন, ‘‘আমাদের এই বিলের বিরোধিতার কোনও জায়গাই নেই।’’ অথচ ২০১০ সালের ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আইন নিয়ে রাজ্য আইএমএ-র কাছ থেকেই ধাক্কা খেয়েছিল তৎকালীন বাম সরকার। মমতা ক্ষমতায় আসার পরে আইএমএ-র দখল তৃণমূলের হাতে। আইএমএ-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, যে হেতু তৃণমূল এখন ক্ষমতায়, তাই বিলের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রীর রোষদৃষ্টিতে পড়ার ভয়েই এ নিয়ে মুখ খুলছেন না রাজ্য নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy