Advertisement
E-Paper

School Teacher: ‘দিদিমণি’ ডাক শোনার জন্যই তো এত বছরের অপেক্ষা! ঊনষাটে শিক্ষক হয়ে বললেন মেনকা

বিষ্ণুপুরের প্রাথমিক স্কুলেই চাকরি পেয়েছেন তিনি। যদি পুজোর পরে স্কুল খোলে তবে প্রায় ৯ মাস চাকরির সুযোগ পাবেন মেনকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৫৫
n মেনকাকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান।

n মেনকাকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান। নিজস্ব চিত্র

তাঁর বয়স ৫৯ বছর ৩ মাস। এই বয়সেই প্রাথমিক স্কুলের ‘দিদিমণি’ হলেন মেনকা মুন্ডা বিষই। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের এই প্রৌঢ়াকে সোমবার চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই মেনকার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন। কৃষ্ণেন্দু বলছিলেন, ‘‘ওঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে পেরে নিজেরও ভাল লেগেছে। নিজে হাতে ওঁকে মিষ্টি খাইয়েছি।’’ আপ্লুত মেনকাও। বলছিলেন, ‘‘দিদিমণি ডাকটা শোনার জন্যই তো এত বছরের অপেক্ষা।’’ মেনকার বাড়ি সবংয়ের বিষ্ণুপুরের মাসমপুরে। বিষ্ণুপুরের প্রাথমিক স্কুলেই চাকরি পেয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার স্কুলে গিয়ে যোগদান করেছেন। তবে স্কুল এখন বন্ধ। যদি পুজোর পরে খোলে তবে প্রায় ৯ মাস চাকরির সুযোগ পাবেন মেনকা। তাঁর স্বামীও অশোক বিষই অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক।

মেনকা-সহ সোমবার জেলায় ১১ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই। ওই ১১ জনই ১৯৯৬ সালের প্যানেলভুক্ত। তৎকালীন অবিভক্ত মেদিনীপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। হাই কোর্টে দীর্ঘদিন সে মামলা চলেছে। শেষ হাসি হেসেছেন মামলাকারীরাই।

নিয়োগপত্র পাওয়া বলরাম বসন্ত, নিত্যানন্দ দোলই, বিমল হারাদের কারও বয়স ৫০ পেরিয়েছে, কারও ৫৫। সোমবার সকলেই দেখা করেন সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু, সংসদের সচিব তথা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক তরুণ সরকারদের সঙ্গে। সকলের জন্যই মিষ্টিমুখের আয়োজন ছিল। মেনকাকে পুষ্পস্তবকও দেওয়া হয়। কৃষ্ণেন্দু বলছিলেন, ‘‘বাম-আমলে দুর্নীতি হয়েছিল। এত দিনে ওঁরা সুবিচার পেয়েছেন।’’

School Teacher
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy