Advertisement
E-Paper

প্রদীপ জ্বলবে কি, কৌতূহলী পাহাড়

গুরুংয়ের চাল সামলাতে তৈরি বিনয় তামাংরা। বিনয় বলেছিলেন, ১৭ই কোনও ঘরে প্রদীপ জ্বলবে না। এ দিন জানান, তাঁরা ওই দিন প্রদীপ জ্বালানোর পক্ষপাতী নন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৮ ০৩:৫৫
বিমল গুরুং। ফাইল চিত্র।

বিমল গুরুং। ফাইল চিত্র।

গত বছর ১৭ জুন সিংমারিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ মোর্চা কর্মীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাকে স্মরণ করতে আজ, রবিবার পাহাড়ের ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর ডাক দিয়েছিলেন বিমল গুরুং। এ বারে অডিয়ো বার্তায় একই সঙ্গে জানালেন, ‘এক বিমল গুরুংয়ের প্রাণ গেলে পরোয়া নেই। পাহাড়ের ঘরে ঘরে আরও গুরুং জন্ম নেবে।’

এই ধরনের অডিয়ো বার্তার পরে সর্বত্র আলোচনা, তা হলে কি নিজেকে বাজি রেখেই এ বারে পাহাড়ে নিজের জমি ধরে রাখতে মরিয়া গুরুং?

গুরুংয়ের চাল সামলাতে তৈরি বিনয় তামাংরা। বিনয় বলেছিলেন, ১৭ই কোনও ঘরে প্রদীপ জ্বলবে না। এ দিন জানান, তাঁরা ওই দিন প্রদীপ জ্বালানোর পক্ষপাতী নন। বরং, ২৭ জুন তাঁরা পাহাড়ে আন্দোলনের সময়ে নিহতদের স্মরণে সভা করবেন। তাঁর ঘনিষ্ঠরাও জানাচ্ছেন, যদি কয়েক জন ঘরদোরে প্রদীপ জ্বালিয়ে স্মরণ করেন তা হলে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে বোঝানো হবে। কিন্তু, জবরদস্তির রাস্তায় কেউ যাতে না হাঁটেন, সেই ব্যাপারে দলের সকলকেই সতর্ক করেছেন বিনয়-অনীত। একদা গুরুঙের ছায়াসঙ্গী সতীশ পোখরেল বলেন, ‘‘গত বছর ১৭ জুনের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী বিমল। তার পরে তিনি পাহাড় ছেড়ে পালান। এখন আড়াল থেকে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’’

কট্টরপন্থীদের মতে, পাহাড়-সমতলে নেপালিভাষীদের মধ্যে প্রভাব আছে গুরুংয়ের। রোশনও গোপন ডেরা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে এই দাবি করে জানান, পঞ্চায়েত ভোটের ফলেই এটা স্পষ্ট। কট্টরপন্থীদের দাবি, সেই প্রভাব কতটা কী রয়েছে, তা বুঝতেই প্রদীপ জ্বালানোর বার্তা দিয়েছেন গুরুং।

Bimal Gurung Audio Morcha Binoy Tamang
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy