প্রতীকী ছবি।
উত্তর দিনাজপুরে বছর আটেকের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিশুকন্যার পড়শি যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রায়গঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে পকসো-এ মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ধৃতকে এ দিন রায়গঞ্জের পকসো আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ওই আদালতের সরকারি আইনজীবী অজয় দাস বলেন, “আদালতে নির্যাতিতা শিশুকন্যার বাবা ও মা হাজির হয়ে অভিযুক্তের জামিনের বিরোধিতা করেন।”
অন্য দিকে, এ দিন ওই শিশুকন্যার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের লোকেদের আইনি সহযোগিতা ও বিচার পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন বিজেপির বিধায়কদের একটি প্রতিনিধিদল। ওই দলে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়, গাজলের বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মণ ও গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় ছিলেন। পরে তাঁরা রায়গঞ্জ সদরের ডিএসপি রিপন বলের কার্যালয়ে গিয়ে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
শঙ্কর বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে দিয়ে ওই শিশুটিকে ধর্ষণের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কমিশন, রাজ্যপাল ও বিরোধী দলনেতাকে চিঠি পাঠানো হবে।” শিখার অভিযোগ, “নদিয়া-কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সোমবারের বক্তব্যের পরে অভিযুক্তের পরিবারের লোকেরা ওই শিশুটির পরিবারকে ধমক-চমক দিচ্ছে। দলের তরফে ওই নাবালিকার পরিবারকে বিচার পাইয়ে দিতে প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হবে।” তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার দু’দিনের মাথায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। হাথরস ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে অভিযুক্তদের ধরার ক্ষেত্রে বিজেপি পরিচালিত উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তৎপরতা কতটা ছিল, সেটা আগে বিজেপি বিধায়কেরা স্পষ্ট করুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy