Advertisement
০৯ মে ২০২৪
Kurmi

ছ’দিনের মাথায় উঠল রেল অবরোধ, দীর্ঘ আলোচনায় খেমাশুলিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন কুড়মিরা

ষষ্ঠ দিনের মাথায় উঠল কুড়মি সমাজের রেল রোকো এবং জাতীয় সড়ক অবরোধ। আপাতত কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা জানালেন কুড়মি নেতারা।

দীর্ঘ আলোচনার পর আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন কুড়মিরা।

দীর্ঘ আলোচনার পর আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন কুড়মিরা। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:২০
Share: Save:

দফায় দফায় আলোচনায় আপাতত কাটল জট। আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনে খেমাশুলিতেও রেল এবং সড়ক অবরোধ তুলে নিলেন কুড়মিরা। মহালয়ার দিন রেল এবং সড়কপথ সচল হচ্ছে।

শনিবার কুড়মি সমাজের মূল নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো জেলা প্রশাসনের বৈঠকে সন্তোষজনক আলোচনার পর অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু এ কথা তিনি অবরোধ স্থলে এসে ঘোষণা করার পর বেঁকে বসেন অবরোধকারীদের একাংশ। খেমাশুলিতেও আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দেন যে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

এর পর অজিত সন্ধ্যায় অবরোধ স্থলে ছেড়ে চলে গেলেও রাত পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যান কয়েক’শো মানুষ। অবশেষে রবিবার সকালে কুস্তাউর রেল স্টেশনে অবরোধ তুলে নেন অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া অবশিষ্ট নেতারা। এ বার আদ্রা পুরুলিয়া শাখায় রেল চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তম্বরম-জসিধি, খড়্গপুর-রাঁচি এক্সপ্রেস, রাঁচি-খড়্গপুর, আসানসোল-পুরুলিয়া-আদ্রা মেমু, আদ্রা-বরাভূম-আদ্রা মেমু প্যাসেঞ্জার ইত্যাদি ট্রেনগুলি নির্ধারিত সময় মেনে চলছে বলে রেল সূত্রে খবর। অন্য দিকে, খেমাশুলিতেও আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

খেমাশুলির কুড়মি আন্দোলনের দায়িত্বে থাকা নেতা রাজেশ মাহাতো বলেন, ‘‘আপাতত অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেওয়া হল। তবে দাবিপূরণের জন্য আন্দোলন চলবে। আগামিদিনে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। শনিবার প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে যে আলোচনা হয়, তাতে বেশ কয়েকটি জায়গা নিয়ে ধন্দ ছিল, পরে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর অবরোধ তুলে নেওয়া হল। সরকার আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছে।’’

তবে খেমাশুলিতে রেল রোকো এবং ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে অবরোধ উঠলেও যানজট কাটতে সময় লাগবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

প্রসঙ্গত, কুড়মি জাতিকে তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত করা এবং কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে গত চার দিন ধরে রাজ্যের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়ে। যার জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পুরুলিয়া,পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার কিছু অংশ। এর জন্য টানা ছ’দিন অচলাবস্থা তৈরি হয় রেল চলাচল এবং সড়ক যোগাযোগে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kurmi Kurmi Community Kurmi Board
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE