রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। ফাইল চিত্র।
৩০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির পরে, বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে ছাড় দিল আয়কর দফতর। কৃষ্ণের দাবি, “আয়কর দফতর আমার কাছ থেকে ‘কালো সম্পদ’ বা ‘কালো টাকা’ পায়নি।” মালদহের সর্বমঙ্গল্লা পল্লিতে ব্যবসায়ী তথা তৃণমূল নেতা হেমন্ত শর্মার বাড়িতেও ৩২ ঘণ্টা তল্লাশির পরে, এ দিন রাতে আয়কর দফতরের অভিযান শেষ হয়।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরে কৃষ্ণের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দফতর ছাড়েন আয়কর কর্তারা। কৃষ্ণ সেখান থেকে বেরোতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন অনুগামীরা। তাঁদের সঙ্গে মিছিল করে বিধায়ক বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে ঢোকার মুখে কৃষ্ণ বলেন, “যাঁরা আমার জামায় কালি লাগানোর ষড়যন্ত্র করেছিলেন, তাঁদের মুখে কালি পড়েছে। আপনারা পাশে থাকায়, আমি কৃতজ্ঞ। আয়কর দফতরের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।”
আয়কর কর্তারা বুধবার সকাল থেকে কৃষ্ণ ও তাঁর পরিবারের একাধিক বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চালান। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, শিলিগুড়ি ও কলকাতায় কৃষ্ণের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, অফিস, অংশীদার ও কর্মীদের বাড়িতেও তল্লাশি চলে। ২০২২ সালের মার্চে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে আয়কর দফতর হানা দেবে এমনই অভিযোগ ছিল কৃষ্ণের। এ দিন সে প্রসঙ্গ টেনে কৃষ্ণ বলেন, “আমি বিজেপিতে নেই। তাই ‘হুমকি’ অনুযায়ী, লোডশেডিং অধিকারী প্রতিহিংসামূলক ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছেন। স্বচ্ছ ভাবে রাজনীতি ও ব্যবসা করি। আমার জামা কালো করা সহজ নয়।” বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের পাল্টা বক্তব্য, “আয়কর দফতর নিজের আইনে চলে। কারও কথায় নয়।’’
কৃষ্ণের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগেই মালদহের তৃণমূল নেত্রী মৌসম নুরের অনুগামী তৃণমূল নেতা হেমন্তের বাড়িতে বুধবার সকাল ৮টা থেকে অভিযান চলছিল বলে আয়কর দফতর সূত্রের খবর। অভিযান শেষে হেমন্ত বলেন, ‘‘আমি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তৃণমূলের নেতা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই অভিযান। দলকে তা জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy