E-Paper

পরিকাঠামোর কাজ ট্রেন বাতিল করে

একের পর এক ঝাঁ চকচকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন এবং নিত্য নতুন স্টেশন উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণার আড়ালে ছিল যাত্রী পরিষেবা এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩ ০৪:৫৮
An image of maintenance work

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা যেন দীর্ঘ দিনের অ-ব্যবস্থাকে আচমকা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে। তা আটকাতে মরীয়া রেল ট্রেন বাতিল করে রেল লাইন, ব্রিজ-সহ পরিকাঠামো মেরামতির কাজে নেমেছে। এর ফলে দেরি হচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেনের। রেল কর্তাদের দাবি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণের পুরো পর্ব মিটলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বাড়বে।

একের পর এক ঝাঁ চকচকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন এবং নিত্য নতুন স্টেশন উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণার আড়ালে ছিল যাত্রী পরিষেবা এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। জুনের ওই দুর্ঘটনার পরেও রেলের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট-বড় একাধিক বিভ্রাট ঘটেছে। ট্রেন বেলাইন, মাঝপথে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন, ওভারহেড কেবল ছিঁড়ে যাওয়া, লোকোমোটিভ বিকল, সিগন্যালিং ব্যবস্থার বিভ্রাট-সহ একাধিক ঘটনা ঘটেছে। রেলের অভ্যন্তরীণ পরিসংখ্যানে গত এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে শুধু যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ১৭ হাজারের কাছাকাছি। যন্ত্র বিকল হওয়ার ওই পরিসংখ্যান রেল কর্তাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।

এখন সমস্যা মেটাতে দেশ জুড়ে সব জ়োনে আগাম পরিকল্পনা করে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে প্রয়োজনীয় মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে অগ্রাধিকারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একাধিক বিভাগেরসমন্বয়ের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের আলাদা ভাবে কাজ করার অভ্যাস সরিয়ে রেখে এক সঙ্গে সমন্বয় রেখে সংশ্লিষ্ট সব কাজ সেরে ফেলার কথা বলা হয়েছে নতুন নির্দেশে। আর এর ফলে দূরপাল্লার ট্রেনের বিলম্ব হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের ওই ব্যবস্থাকে ‘রোলিং ব্লক’ বলছেন আধিকারিকরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Indian Railways Maintenance

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy