আজ বিশ্ব অ্যালজাইমার্স দিবস। জেনে নিন রোগ সম্পর্কে।
বাড়ির মধ্যেই কোথাও রেখেছেন চাবি কি চশমা। কিন্তু কোথায়, মনে পড়ছে না।
• অতি পরিচিত লোকেরও নাম ভুল যাচ্ছেন।
• কথা বলার সময়ে ঠিক শব্দটা খুঁজে পাচ্ছেন না কিছুতেই।
• সাম্প্রতিক কথাবার্তা, ঘটনা, মুছে গিয়েছে স্মৃতি থেকে।
• চেনা পথও ভুল হয়ে যাচ্ছে।
বয়স যদি হয় পঁয়ষট্টির আশপাশে, আর এই সব সমস্যার কোনওটা যদি ঘনঘন হতে থাকে, তা হলে ‘ডিমেনশিয়া’ বা স্মৃতিলোপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। নানা কারণে ডিমেনশিয়া হতে পারে, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তার কারণ হল অ্যালজাইমার্স।
কী এই অ্যালজাইমার্স?
এই অসুখে ব্রেনের মধ্যে প্রোটিন জমে এমন কিছু বাধা তৈরি হয়, যাতে স্নায়ু কোষগুলির পরস্পর সংযোগ নষ্ট হয়ে যায়, পরে তা মরে যায়। কিছু রাসায়নিক যা স্নায়ুকোষে যোগাযোগে সাহায্য করে, তারও ঘাটতি দেখা যায় আক্রান্তদের মধ্যে। স্মৃতিলোপ সাধারণত এর প্রথম লক্ষণ। ক্রমশ সমস্যা বাড়তে থাকে।
কী কী লক্ষণ?
কথাবার্তার খেই হারিয়ে ফেলা, বারবার এক কথা বলা, দূরত্ব বুঝতে অসুবিধে, সিঁড়ি ভাঙতে বা গাড়ি পার্ক করতে অসুবিধে, সিদ্ধান্ত নেওয়া, সমস্যার সমাধান, পরপর কয়েক ধাপে একটি কাজ (যেমন রান্না) করতে অসুবিধে, তারিখ মনে রাখতে অসুবিধে।
এই লক্ষণগুলো অনেকে প্রথমটা পাত্তা দেন না। বাড়ির লোকেদের কাছে পরিবর্তনগুলো বেশি স্পষ্ট হয়। তাই তাঁরা এ বিষয়ে কিছু বললে উড়িয়ে দেবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অ্যালজাইমার্স সারানো যায় না। তবে চিকিৎসায় এর অগ্রগতি কমিয়ে দেওয়া যায়।
তথ্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy