Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

যাদবপুরে পুনর্নিযুক্ত শিক্ষকদের বকেয়া তিন মাসে

পরিমল দেবনাথ-সহ যাদবপুরের ওই শিক্ষকদের আইনজীবী এক্রামুল বারি বুধবার জানান, ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে কয়েক দফায় তাঁর মক্কেলদের পুনর্নিযুক্ত করা হয়।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
যাদবপুর শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:১৬
Share: Save:

অবসর নেওয়ার পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ জন শিক্ষককে পুনরায় বহাল করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের প্রাপ্য বেতনের বকেয়া রাজ্য সরকার মেটায়নি বলে অভিযোগ তুলে ওই শিক্ষকেরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। পাঁচ বছর ধরে মামলা চলার পরে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ৩১ অগস্ট রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছেন, তিন মাসের মধ্যে ওই শিক্ষকদের বকেয়া মেটাতে হবে।

পরিমল দেবনাথ-সহ যাদবপুরের ওই শিক্ষকদের আইনজীবী এক্রামুল বারি বুধবার জানান, ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে কয়েক দফায় তাঁর মক্কেলদের পুনর্নিযুক্ত করা হয়। ১৯৭৯ সালে তৈরি রাজ্যের শিক্ষা সংক্রান্ত একটি আইনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কোনও শিক্ষককে নিয়োগ করতে পারবেন। অবসরের পরে কোনও শিক্ষককে নিযুক্ত করা হলে তিনি ৬৫ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন। সেই আইন অনুসারে ওই শিক্ষকেরা নিযুক্ত হন এবং অবসর নেওয়ার সময়ে যে-হারে বেতন পাচ্ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ সেই হারেই তাঁদের বেতন দিতে থাকেন। বর্তমান রাজ্য সরকার ২০১৩ এবং ২০১৪-য় তিনটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই শিক্ষকদের বেতনের বেশির ভাগটাই আটকে দেয়। তাঁদের বেতনের ৮০ শতাংশ কেন্দ্রের মেটানোর কথা। তা মেটানো হয়নি। শিক্ষকদের আইনজীবী জানান, ওই তিনটি বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০১৫ সালে মামলা হয় হাইকোর্টে। রাজ্যের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, ওই শিক্ষকদের যে-ভাবে পুনরায় নিয়োগ করা হয়েছে, তাতে স্বচ্ছতা নেই। এক্রামুল জানান, বিচারপতি জানিয়েছেন, ওই শিক্ষকেরা দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই জন্যই তাঁদের বকেয়া বেতন মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE