প্রতীকী ছবি।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান শাখায় এ বার সরকারি স্কুলের ফল বেশ ভাল। কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুল ও বীরভূম জেলা স্কুল থেকে যৌথ ভাবে প্রথম হয়েছেন দুই পড়ুয়া। তাঁরা দু’জনেই বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়া। এ ছাড়াও সার্বিক ভাবে বিজ্ঞানে সরকারি স্কুলের ফল উজ্জ্বল। তা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ সরকারি স্কুলে বিজ্ঞানের সব আসন পূর্ণ হচ্ছে না। কলা বা বাণিজ্যের আসন পূর্ণ হলেও বিজ্ঞানে কেন ভর্তি কম কেন, তা নিয়ে চিন্তিত শিক্ষক শিবির।
শনিবার শাখাওয়াত মেমোরিয়াল গর্ভমেন্ট গার্লস হাইস্কুলে এই নিয়ে পর্যালোচনায় বসেন শিক্ষক মহলের একাংশ। তাতে যোগদানকারীরা জানান, পর্যালোচনায় বেশ কিছু কারণ উঠে এসেছে। ১) উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞানে পাঠ্যক্রমের বোঝা দুর্বহ। যথাযথ পাঠ্যপুস্তকের অভাব রয়েছে। তাই অনেকে অন্য বোর্ডে চলে যাচ্ছেন। ২) আগে মাধ্যমিকে ভাল নম্বর পেলেই বিজ্ঞান পড়ার প্রবণতা দেখা যেত। ইদানীং সেটা কমেছে। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল নম্বর পেয়ে কলা বা বাণিজ্য পড়তে যাচ্ছেন অনেকে। তাই বিজ্ঞানে সব আসন পূর্ণ হচ্ছে না। ৩) অনেক পড়ুয়া ও অভিভাবক মনে করছেন, সর্বভারতীয় এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সিবিএসই এবং আইসিএসসি বোর্ডের পড়ুয়ারা বেশি সাফল্য পান। তাই তাঁরা ওই সব বোর্ডের দিকে ঝুঁকছেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘‘পর্যালোচনায় যে-সব দিক উঠে এসেছে, সেগুলো নিয়ে আমরা শিক্ষামন্ত্রী, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলকে চিঠি দেব। বিজ্ঞানে পড়ুয়া হ্রাসের প্রবণতা রুখতে হবে। নইলে সরকারি স্কুলে বিজ্ঞান শাখায় আঘাত আসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy