সমবেত: চলছে চিনাভাষা নিয়ে প্রতিযোগিতা। সোমবার শান্তিনিকেতনে। নিজস্ব চিত্র
চিনাভাষা নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হল বিশ্বভারতীতে। কলকাতার চিনা কনস্যুলেট এবং বিশ্বভারতীর চীনাভবনের উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতা হয়। সোমবার প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন কলকাতায় অবস্থিত চিনা দূতাবাসের ডেপুটি কনসাল হিউ সিশুং। উপস্থিত ছিলেন চীনাভবনের অধ্যাপক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভিন্ন ভবনের অধ্যাপক, অধ্যাপিকারা।
এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন গুজরাট কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়-সহ সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। চিনাভবনের পড়ুয়া সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা মোট ৩৫ জন পড়ুয়া এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন। জুনিয়র এবং সিনিয়র স্তরে এই প্রতিযোগিতা হয়।
পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে চিনাভাষায় ২ থেকে ৩ মিনিট বলার জন্য দেওয়া হয়। কম সময়ের মধ্যে যাঁরা নির্দিষ্ট বিষয় সম্বন্ধে ভাল ভাবে চিনাভাষায় বলতে পারেন, তাঁদের সেরা নির্বাচন করা হয়। দেওয়া হয় ‘হিউয়েন সাং’ পুরস্কার। চিনাভবনের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীও এই পুরস্কার পায়।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতিযোগিতা পাঁচ বছরে পড়লো। রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন চিনাভাষা শিক্ষার মাধ্যমে দু’দেশের মানুষকে কাছাকাছি নিয়ে আসার। উভয় দেশের সংস্কৃতির মেলবন্ধন দৃঢ় করাও তাঁর উদ্দেশ্য ছিল। এর সূচনা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথেরই হাতে, ১৯৩৭ সালে বিশ্বভারতীতে চীনাভবন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে।
এই প্রতিযোগিতার আরও একটি উদ্দেশ্য হলো চিনাভাষা নিয়ে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছেন, তাঁদের উৎসাহিত করা। ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতার চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় আমরা এই প্রতিযোগিতা করে আসছি। এ বছরও ভাল ভাবে হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy