E-Paper

‘সব বাম-কংগ্রেস-বিজেপির চক্রান্ত’

জেলার প্রতিটি পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের কাছে রাজ্য সরকারের জনমুখী যে কোনও একটি প্রকল্প পৌঁছে গিয়েছে। এতে আমি একা কেন, গোটা জেলাবাসী সন্তুষ্ট।

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ০৭:০১
Uttam Barik.

উত্তম বারিক। —নিজস্ব চিত্র।

প্রশ্ন: পাঁচ বছরে উন্নয়নের ক্ষেত্রে জেলা পরিষদ কতটা সফল?

উত্তর: ২০১১ সালের পরে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, নিকাশির মতো মৌলিক চাহিদাগুলির অনেকটাই পূরণ করা গিয়েছে। অন্য জেলাগুলির তুলনায় পূর্ব মেদিনীপুর সামগ্রিক উন্নয়নে অনেকটা এগিয়ে।

প্রশ্ন: নিজের কাজে সন্তুষ্ট?

উত্তর: জেলার প্রতিটি পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের কাছে রাজ্য সরকারের জনমুখী যে কোনও একটি প্রকল্প পৌঁছে গিয়েছে। এতে আমি একা কেন, গোটা জেলাবাসী সন্তুষ্ট।

প্রশ্ন: রাস্তাঘাট, পানীয় জল, নিকাশি এবং স্বাস্থ্যের মতো পরিষেবা ক্ষেত্রে অনুন্নয়নের অভিযোগ উঠছে।

উত্তর: আমার সময়কালে ৫৫০টি গ্রামীণ রাস্তা তৈরি হয়েছে। অসংখ্য সাব-মার্সিবল পাম্প বসেছে। ভূগর্ভস্থ লবণাক্ত জলকে শোধন করে পানীয় জলে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া কাঁথির বিভিন্ন পঞ্চায়েতে চলছে। অনেক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।

প্রশ্ন: একশো দিনের কাজ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি, সবেতেই জড়িয়েছে আপনাদের দলের নেতাদের নাম। অনেকে জেল হেফাজতে রয়েছেন। প্রচারে মানুষকে কী জবাব দেবেন?

উত্তর: দুর্নীতির কোনও অভিযোগ এখনও প্রমাণিত নয়। তবু, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা গ্রেফতার হওয়ার ছ’দিনের মাথায় তাঁকে সব পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেখেই ভোট দেন।

প্রশ্ন: উন্নয়নমূলক কাজের জন্য জেলা পরিষদ যা অর্থ পেয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট?

উত্তর: কেন্দ্র একাধিক প্রকল্পে ন্যায্য পাওনা দিচ্ছে না। তাও রাজ্য সরকার সাধ্যমতো অর্থ বরাদ্দ করেছে।

প্রশ্ন: সরকারি প্রকল্পের হাল নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন।

উত্তর: একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা— প্রকল্পের হাল দেখতে বহু বার কেন্দ্রীয় দল এসেছে। কিন্তু দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে কি!

প্রশ্ন: ‘দিদির দূতদের’ গ্রামাঞ্চলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির প্রভাব বারের পঞ্চায়েত ভোটে কতটা পড়তে পারে?

উত্তর: সব বিজেপি, সিপিএম আর কংগ্রেসের চক্রান্ত। গরিব মানুষ যাতে রাজ্য সরকারের ৬৪টি জনমুখী প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হন, তাই দুর্নীতির মিথ্যে অভিযোগ তুলে হাওয়া গরম করতে চাইছে বিরোধীরা।

প্রশ্ন: জেলা পরিষদ কোন কাজ করতে পারল না?

উত্তর: কিছু কিছু গ্রামীণ রাস্তার কাজে টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। তবে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ায় আপাতত কাজ করা যাচ্ছে না।

প্রশ্ন: বারে কাঁথির বদলে খেজুরি থেকে লড়তে কি সমস্যা হতে পারে আপনার?

উত্তর: আমি দলের এক জন সাধারণ সৈনিক। দল যা দায়িত্ব দেবে মাথা পেতে নেব। আমার মূল লক্ষ্য জেলা জুড়ে দলীয় প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করা।

সাক্ষাৎকার: কেশব মান্না

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal WB Panchayat Election 2023

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy