বিভিন্ন সময়ে বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন তিনি শাসক দলকে ভোটে জেতানোর জন্য এক্তিয়ার ভেঙে কাজ করছেন। সেই সব অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন কী পেয়েছে, তা জানতে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ।
ভারতীদেবীর কৌঁসুলি সুমন সেনগুপ্ত অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে তাঁর মক্কেলের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নানা প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু কমিশন কখনই জানায়নি, ভারতীদেবীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করে তারা কী পেয়েছে। এটাই জানতে চান তাঁর মক্কেল।
সুমনবাবু জানান, এ বারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর মক্কেলকে মাওবাদী দমন শাখার স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করেছিল রাজ্য সরকার। কমিশন পরে বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই পদ থেকে তাঁকে সিআইডি-তে বদলি করে দেয়। সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র ও কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন, ভারতীদেবী তাঁর কাজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূলের হয়ে ভোটের কাজ করছেন। অভিযোগ ছিল, নির্বাচনের আগে গোপনে মেদিনীপুরেও গিয়েছিলেন ভারতীদেবী। মানসবাবু কমিশনে অভিযোগ জানান, ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোচবিহারে গিয়েছিলেন ভারতীদেবী। উদ্দেশ্য ছিল, সেখানকার প্রশাসনকে প্রভাবিত করা। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর বা কোচবিহার— কোথাওই যাননি ভারতীদেবী। কমিশন এই অভিযোগগুলির নিশ্চই কোনও তদন্ত বা অনুসন্ধান করেছে। এখন নির্বাচন শেষ। কমিশন এখন ভারতীদেবীকে জানাক, তাদের অনুসন্ধানে কী পেয়েছে।
আগামী ৭ জুন এই মামলার শুনানি হবে বলে ভারতীদেবীর কৌঁসুলি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy