অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার ফেসবুক প্রোফাইলও বলছে, তিনি একই সঙ্গে দু’টি চাকরি করেন। একটি সরকারি, অন্যটি বেসরকারি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের বাড়িতে তল্লাশির পরেই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, তাঁর মেয়েরও অনেক সম্পত্তি রয়েছে। অনুব্রতকে গ্রেফতার ও জেরার পরেও এমন দাবি করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরই মধ্যে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ জমা পড়েছে, টেট না দিয়েই প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। তাঁর নামের ফেসবুক প্রোফাইলও বলছে, তিনি একই সঙ্গে দু’টি চাকরি করেন। একটি সরকারি, অন্যটি বেসরকারি।
সুকন্যার নাম, তাঁর এবং অনুব্রতের স্ত্রীর ছবি দেওয়া একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বায়োতে সুকন্যা নিজেই যে তথ্য দিয়েছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই দু’টি চাকরিই তিনি পেয়েছেন ২০১৬ সালে। ফেসবুক প্রোফাইল বলছে, বোলপুর গার্লস হাই স্কুলে তাঁর পড়াশোনা শেষ হয় ২০১০ সালে। ২০১৬ সালে তিনি প্রথমে যোগ দেন বীরভূমের ‘ভোলে বাবা রাইস মিল’ নামে এক সংস্থায়। এর পরে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে। ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি যদিও ‘ভেরিফায়েড’ নয়। কলকাতা হাইকোর্টে বুধবার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিয়ে সুকন্যার চাকরির বিষয়টি আদালতকে জানান। সেটা শুনেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের মধ্যে সুকন্যাকে কলকাতা হাই কোর্টে ডেকে পাঠান।
বুধবার সিবিআই অনুব্রতের বোলপুরের বাড়িতে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিল। তবে তদন্তকারীদের সঙ্গে সুকন্যা কথা বলতে চাননি বলে সিবিআই সূত্রে জানা যায়। এর পরেই কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ জমা পড়ে যে টেটে উত্তীর্ণ না হয়েও প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়ে যান সুকন্যা। যা শোনার পরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘উনি কবে চাকরি পেয়েছেন? উনি যে স্কুলে পড়ান তাই জানতাম না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
শুধু সুকন্যাই নন, তিনি যে স্কুলের দিদিমণি সেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। হাই কোর্টে আইনজীবী ফিরদৌস বলেন, ‘‘স্কুলের রেজিস্টার খাতা অনুব্রতের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁর মেয়ের হাজিরা নিয়ে আসতেন এক জন।’’ শুধু সুকন্যাই নন, অনুব্রতের আরও পাঁচ জন ঘনিষ্ঠ এবং আত্মীয় চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ জানান ফিরদৌস। সকলকেই বৃহস্পতিবার তলব করেছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy