Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

নিয়োগে উজ্জ্বল এ বার যাদবপুর

ক্যাম্পাস সূত্রের খবর, এ বার ই়ঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৬৮০ জন পড়ুয়া ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। তাঁদের ৮৫% চাকরি পেয়েছেন। বেশি চাকরি হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। একই ভাবে অর্থনীতি-সহ কলা বিভাগে ১৩০ জন ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন ৭৪ জন।

মধুমিতা দত্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ০৩:৫২
Share: Save:

ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বার এগিয়ে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও কলা বিভাগে যত পড়ুয়া ইন্টারভিউ দিয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন। এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২৫ জন ছাত্রের বার্ষিক প্যাকেজ ৩০ লক্ষ টাকার বেশি। অনেক বেশি সংখ্যক সংস্থা এ বার ইন্টারভিউয়ে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ক্যাম্পাস সূত্রের খবর, এ বার ই়ঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৬৮০ জন পড়ুয়া ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। তাঁদের ৮৫% চাকরি পেয়েছেন। বেশি চাকরি হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। একই ভাবে অর্থনীতি-সহ কলা বিভাগে ১৩০ জন ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন ৭৪ জন। বিজ্ঞান শাখায় চাকরি হয়েছে ৪০ জনের বেশি পড়ুয়ার। কর্তৃপক্ষের যুক্তি, সাধারণত কলা ও বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষায় চলে যান। তাঁদের অধিকাংশ ইন্টারভিউ দেন না।

ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ের এই সাফল্যে খুশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যাদবপুরে কেন্দ্রীয় ভাবে প্লেসমেন্ট কো-অর্ডিনেশনের দায়িত্ব যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরই এক জন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ছাত্র বিবেক বনশল। তিনি জানান, শুধু তথ্য-প্রযুক্তি, কম্পিউটর সায়েন্স এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন নয় এ বার মেকানিক্যাল, সিভিল, ফুড টেকনোলজি, প্রিন্টিং টেকনোলজি, ফার্মেসিতেও অনেক চাকরি হয়েছে। তবে বিবেকের দাবি, ‘‘এ বার আইআইটিগুলোর ক্যাম্পাসিংয়ে আশানুরূপ ফল না পেলেও যাদবপুরের ছবিটা খুবই উজ্জ্বল।’’

দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাতত্ত্ব বিভাগের এক ছাত্র কলা বিভাগের জন্য ক্যাম্পাসিংয়ের দাবি তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বলেন, ‘‘আগে অনেক কোম্পানি আসত। এখন ভয়ে ভয়ে আসে না। উপাচার্যকে বলছি, পরিবেশ তৈরি করুন। কিছু ইন্ডাস্ট্রিকে বলে দিন। আমরা যা করার করব।’’

কলা বিভাগের প্লেসমেন্টের দায়িত্বে থাকা পড়ুয়া প্রতিনিধি শ্বেতাশ্রী মাল জানান, শিক্ষাতত্ত্ব বিভাগের বেশ কয়েক জন ক্যাম্পাসিংয়ে অংশ নিলেও চাকরি পাননি।

উপাচার্য সুরঞ্জন দাস শুক্রবারই জানিয়েছিলেন, এ বছর প্লেসমেন্ট খুবই ভাল হয়েছে। প্লেসমেন্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শমিতা ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, ‘‘সব ছাত্র কখনই ক্যাম্পাসিংয়ে অংশ নেন না। অনেকেই উচ্চশিক্ষায় চলে যায়।’’

ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ দিয়ে ৩০ লাখের প্যাকেজে চাকরি পাওয়া কম্পিউটর সায়েন্সের পড়ুয়া অমিত্রজিৎ সরকার এ দিন জানান, সামনের মাসেই তিনি হায়দরাবাদে কাজে যোগ দিতে চলে যাচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE