মোর্চার সহ সভাপতি প্রদীপ প্রধানের দল ছাড়ার চার দিনের মাথায় কার্শিয়াঙে জনসভা করে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে পাহাড়ে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি দিলেন মোর্চা নেতারা। দরকারে অরূপবাবুকে ঢিল ছুড়ে পাহাড় থেকে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে।
মোর্চার কার্শিয়াং টাউন কমিটির সভাপতি যোগেন্দ্র রাই জানান, অরূপবাবু এই পাহাড়ে দাঁড়িয়ে বলেছেন, মোর্চা সভাপতিকে না কী পাহাড় ছাড়তে হবে, কিন্তু কী হবে, তা এ দিনের জন সমাগম প্রমাণ করে দিল। তাঁর কথায়, পাহাড়ের মানুষ অরূপবাবুর কথায় দুঃখ পেয়েছেন, উনি এসব না বললেই পারতেন। এর পরেই তাঁর হুমকি, ‘‘ভবিষ্যতে পাহাড়ে এসে অরূপবাবু এ সব কথা বললে, আমাদের আন্দোলন অগণতান্ত্রিক হতে সময় লাগবে না। তার জন্য উনি তো বটেই মুখ্যমন্ত্রীও দায়ী থাকবেন।’’ যোগেন্দ্রবাবু ঘোষণা করেন, ‘‘অরূপবাবু পাহাড়ে এলে আমরা প্রথমে কালো পতাকা দেখাব। প্রয়োজনে ঢিল মেরে ওকে ফেরত পাঠানো হবে।’’
অরূপবাবু এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। মোর্চার হুমকি নিয়ে তাঁরা বিন্দুমাত্র বিচলিত নন বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের পাহাড় কমিটির মুখপাত্র বিন্নি শর্মা। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়টা কি মোর্চার একার!’’ বিন্নি জানিয়ে দিয়েছেন, আজ সোমবার তৃণমূলের পাহাড় কমিটি এ ব্যাপারে আলোচনা করে বিস্তারিত জানাবে।
গত বুধবার জিটিএ চেয়ারম্যান প্রদীপ প্রধান তৃণমূলে যোগ দেন। দলের তরফে দার্জিলিঙের পর্যবেক্ষক অরূপবাবুর হাত থেকেই মোর্চাত্যাগীরা তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। পাহাড়ের পরিস্থিতির জেরে বিমল গুরুঙ্গকে জিটিএ থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে পাহাড় ছাড়তে হবে বলেও তৃণমূলের সভায় অরূপবাবু মন্তব্য করেছিলেন। রবিবার একই জায়গায় পাল্টা সভা করে মোর্চা নেতারা অরূপবাবুর উদ্দেশ্যে ওই হুমকি দেন।
মোর্চা বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা জানিয়েছেন, প্রদীপ প্রধানের দলত্যাগের পর এদিন শক্তি দেখাতে মোর্চা সভার ডাক দেয়। শুধু কার্শিয়াং নয়, পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকেও সভায় লোক আনা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy