কাকা তপনকে জয় উৎসর্গ করলেন মিঠুন। নিজস্ব চিত্র।
এক ভাইপোর বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করেছিলেন। অভিযোগ, সেই ভোটে জয়ের পরেই খুন হতে হয় ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে। যে অভিযোগ এখনও প্রমাণসাপেক্ষ। তিন মাসের মধ্যে সেই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জিতল কংগ্রেসই।
বুধবার তপন কান্দুর অন্য এক ভাইপো মিঠুন কান্দু কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ৭৭৮ ভোটে জয়ী হলেন। তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ রজককে হারিয়ে মিঠুনের মন্তব্য, ‘‘এই জয় প্রত্যাশিত। আমাকে নয়, এই ওয়ার্ডের মানুষ আমার কাকাকে (তপন কান্দু) জিতিয়েছেন। সবাইকে অভিনন্দন। এই জয় উৎসর্গ করলাম কাকাকেই।’’
ভাইপোর জয়ে প্রতিত্রিয়া দিতে গিয়ে গলা ধরে আসছিল তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমার। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘আজ আমি খুব খুশি। তৃণমূল ওঁকে (তপন) পুরপ্রধান হতে দেবে না বলে খুন করেছিল। তার পর নিজেরাই ভোটের আয়োজন করল। কিন্তু এই ওয়ার্ডের মানুষ তার যোগ্য জবাব দিলেন।’’ একটু থেমে পূর্ণিমা আরও বললেন, ‘‘এই জয় ২ নম্বর ওয়ার্ডের (ঝালদার) মানুষের জয়। আমার স্বামীর জয়।’’
প্রসঙ্গত, ভোটের আগে থেকেই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ রজক। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছিলেন, ‘‘সহানুভূতি কুড়িয়ে ভোটে জেতা যায় না।’’ কিন্তু বুধবার ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, তিনি পরাজিত হয়েছেন। ভোটের ফলাফলের পর জগন্নাথ দলীয় অন্তর্ঘাতের অভিযোগ এনেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ১৩ মার্চ খুন হয়েছিলেন তপন কান্দু। অভিযোগ উঠেছিল, রাজনৈতিক কারণে ওই হত্যা। ওই ওয়ার্ডে তপনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তাঁর ভাইপো দীপক কান্দু। তবে তপনের খুনের নেপথ্যে পুলিশ ‘পারিবারিক কারণ’-কেই দায়ী করেছিল। যদিও তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা বারবারই অভিযোগ করে আসছেন এই বলে যে, ‘‘এটা রাজনৈতিক খুন!’’ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। বিচারের শেষেই বোঝা যাবে কে ঠিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy