Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪
West Bengal SSC and TET Scam

জীবনের ‘দ্বিতীয় মোবাইল’ মিলল খেজুর গাছের তলা থেকে, সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার

সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পুকুরপাড়ের কাছে খেজুর গাছের নীচ থেকে মিলল ফোনটি। পুকুর থেকে মোবাইল উদ্ধারের কাজ যাঁরা করছিলেন, তাঁদের মধ্যে সঞ্জীব বাগদি নামে এক ব্যক্তি সেটি উদ্ধার করেন।

উদ্ধার হল জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় মোবাইল।

উদ্ধার হল জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় মোবাইল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বড়ঞা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৩৮
Share: Save:

জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হওয়ার পর মিলল তাঁর দ্বিতীয় মোবাইলটি। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পুকুর পাড়ের কাছে খেজুর গাছের নীচ থেকে মিলল ফোনটি। পুকুর থেকে মোবাইল উদ্ধারের কাজ যাঁরা করছিলেন, তাঁদের মধ্যে সঞ্জীব বাগদি নামে এক ব্যক্তি সেটি উদ্ধার করেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় কালো রঙের ওই মোবাইলটি উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়ার সময় সেটি সাদা প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া ছিল। প্যাকেটের উপরে রয়েছে সিজ়ার লিস্ট নম্বর। যার অর্থ, ছুড়ে ফেলে দেওয়ার আগে এই মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই।

পুকুরের জল ছেঁচে তোলার পর রবিবার দুপুরে পাঁক থেকে জীবনের প্রথম মোবাইলটি উদ্ধার হয়। এর পর দ্বিতীয় ফোনের খোঁজে রবিবার বিকেল নাগাদ জেসিবি মেশিনটি আনায় সিবিআই। তার পিছনে পিছনে এসেছে মাটি বহনকারী একটি ট্র্যাক্টর। তার কিছু ক্ষণের মধ্যে নিয়ে আসা হয় প্লাস্টিকের পেল্লায় বস্তা। উৎসাহীরা তখনও ঠাওর করতে পারেননি আগামী কয়েক মিনিটের মধ্যে ঠিক কী ঘটতে চলেছে। জেসিবি আসা ইস্তক পুকুরের চার পাশে ভিড় জমেছিল। সবার সামনেই শুরু হয় ‘সিবিআই অপারেশন’।

প্রথমে জেসিবি মেশিনের সাহায্যে পুকুর থেকে কাদা তোলা হয়। সেই কাদা ভরা হয় ট্র্যাক্টারে। কাদা ভরে নিয়ে ট্র্যাক্টরটি যায় বিধায়কের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি ফাঁকা জায়গায়। বিশাল একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ঢালা হয় কাদা। অন্য দিকে, পাম্প চালিয়ে সেই কাদাভর্তি প্লাস্টিকের বস্তায় আবার জল ভরা হয়। এ ভাবে কাদার ঘনত্ব কমিয়ে পাঁকে ডুবে থাকা মোবাইল খোঁজার চেষ্টা করেন গোয়েন্দারা। তার পরেও মেলেনি ফোনটি। শেষমেশ পুকুরপাড়ে খেজুর গাছের তলা থেকে সেটি উদ্ধার হল।

অন্য বিষয়গুলি:

Jiban Krishna Saha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE