মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।
আগামী তিন বছরে রাজ্যে ৩৫ লক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন নবান্নে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এক প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি জানান, সরকারি চাকরির পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি-বাণিজ্য, ছোট ও মাঝারি শিল্প-সহ নানা ক্ষেত্রে কাজের ব্যবস্থা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গত ৯ বছরে রাজ্যে মোট ২৯ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। সারা দেশে যখন কাজের জন্য হাহাকার, তখন পশ্চিমবঙ্গে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী কাজ পেয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া হিসেবে আগামী তিন বছরে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে পাঁচ লক্ষ, কৃষি-বাণিজ্যে ১০ লক্ষ, মাটি সৃষ্টি প্রকল্পে তিন লক্ষ ও হস্তশিল্পে দু’লক্ষ কাজের ব্যবস্থা হবে। বাকি কাজের ব্যবস্থা হবে ছোট ও মাঝারি শিল্পে। আরও বাড়বে সরকারি চাকরি।
স্বনিযুক্তির ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেগুলির মধ্যে রয়েছে সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দু’লক্ষ যুবক-যুবতীকে মোটরবাইক কেনার জন্য ঋণের বন্দোবস্ত করা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক কোটি সদস্যের তহবিলে পাঁচ হাজার টাকা করে পাঠানো, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আরও ঋণ দেওয়ার জন্য সরকার সচেষ্ট বলেও তিনি জানান।
আরও পডুন: টাকে চুল গজালেও রাজ্যে বিজেপি নয়, অমিতকে আক্রমণে চড়া সুর কল্যাণের
আরও পডুন: জোটই চমক দেবে, সুর কংগ্রেসের মঞ্চে
এ দিন ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে বৈঠকে জানান, করোনার সময়ে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, দস্তানা ইত্যাদি তৈরি করে রাজ্যে ৪০ লক্ষ কর্মদিবস সৃষ্টি করা গিয়েছে। কঠিন আর্থিক পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের তাতে প্রচুর উপকার হয়েছে।
শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজীব সিংহ আগামী ছ’মাসের মধ্যে শিল্প স্থাপন করে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি করেছেন। তিনি জানান, রাজ্যের শিল্প তালুকগুলিতে ১৫০০ একর জমি পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া, ২৭ লক্ষ বর্গফুট জায়গাও (মডিউল) রয়েছে। আগামী ছ’-সাত মাসের মধ্যে এখানে ৪-৫ লক্ষ কাজের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সরকারের হাতে আরও ৪৬০০ একর জমি রয়েছে। সেখানেও শিল্প আনার জন্য জেলাশাসকদের আরও সচেষ্ট হতে হবে বলে শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান বৈঠকে জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy