ন্যায্য পেনশনের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক শিক্ষক। তবে সরকারি নথি বলছে, মৃত্যুর প্রায় তিন মাস পরে মামলা ‘করেছেন’ তিনি! শুনানিতে এই কথা জানতে পেরে চলতি সপ্তাহেই বিস্মিত হয়ে যান বিচারপতি মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, কোর্টের সঙ্গে জালিয়াতি করা হয়েছে। এই ঘটনায় কোর্ট যথাযথ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিতে পারত। তবে মামলাকারী পক্ষ মামলাটি খারিজ করার আর্জি জানানোয় শেষমেশ তিনি অনুসন্ধানের নির্দেশ দেননি। মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। এই মামলায় এর আগে মামলাকারীকে পেনশন সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এক স্কুলশিক্ষকের তরফে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করা হয়। সে বছরের ১৩ ডিসেম্বর ন্যায্য পেনশন দেওয়ার ব্যাপারে কিছু নির্দেশ দেন বিচারপতি। কোর্টর খবর, চলতি সপ্তাহেই মামলাটি ফের ওঠে। তাতে সরকারপক্ষ জানায়, ওই নির্দেশ পালনের জন্য খোঁজখবর করতে গিয়ে দেখা যায় যে মামলা দায়েরের আগেই মামলাকারী মারা গিয়েছেন। বিচারপতি মান্থা রায়ে উল্লেখ করেছেন, ২০২৩-এর ১৩ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের হয়। অথচ মামলাকারী সে বছরের ১৮ জুন মারা যান।
আইনজীবীদের একাংশের মতে, হাই কোর্টে মামলা দায়েরের নানা নিয়ম আছে। সেই নিয়ম ঠিক মতো পালন করা হচ্ছে কি না, এই মামলার ঘটনা সেই প্রশ্ন কিন্তু তুলে দিয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)